সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশ তোলপাড় হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে নয়া মোড় গত ডিসেম্বরে দেশে আলোড়ন ফেলে দেওয়া উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে (Unnao Gangrape)। গত চারদিন ধরে নিখোঁজ উন্নাওয়ের নিপীড়িতার ছ’বছরের ভাইপো। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল একটা পুকুরের ধারে খেলা করতে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার পিছনে রয়েছে অভিযুক্তদের হাত। উন্নাওয়ের পুলিশ সুপারিটেন্ড্যান্ট আনন্দ কুলকার্নি জানিয়েছেন, উন্নাও, লখনউ ও রায়বেরিলি জেলার ১৪টি পুলিশের দল নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান করছে।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগে যে পাঁচজনের নাম করা হয়েছে তাদের আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পাঁচজনই ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের আত্মীয়। শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার সময় ওই পাঁচজনই গ্রামে ছিল তা তদন্তে উঠে এসেছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে ওই সময় তাদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযোগ, এরাই অপহরণ করেছে শিশুটিকে।
[আরও পড়ুন: নয়া রেকর্ড মোদির, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার অলিন্দে কাটালেন দু’দশক]
নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকা তিন পুলিশকর্মীকে এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও বেশি পরিমাণে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে নির্যাতিতার বাড়িতে। লখনউ রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল লক্ষ্মী সিং রবিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সব রকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে ওই তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তরা গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ না করার চাপ ছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের মার্চে পুলিশে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। গ্রেপ্তারও হয় অভিযুক্তরা। কিন্তু পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। এরপর ডিসেম্বরে ধর্ষণ মামলার শুনানিতে উপস্থিত হতে রায়বরেলি যাওয়ার সময় তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা। তরুণীর দেহের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। এরপর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।