স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে প্রথম কোনও সংখ্যালঘু পরিবার এগিয়ে এল মরনোত্তর অঙ্গদান করতে। শোকের মধ্যেই মৃতার অঙ্গদানে সই করলেন ছেলে ও দাদা। এই ঘটনা এসএসকেএম হাসপাতালে শুক্রবার সকালে।
গত সোমবার দুপুরে জাহানারা বিবি (৫৮) মুর্শিদাবাদের কান্দি থেকে ছেলের বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই গোকর্ণে বাইক থেকে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সিটিস্ক্যানে জানা গেল সেরিব্রাল স্ট্রোক। জাহানারা বিবির দাদা তথা ভরপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগেই এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয় জাহানারা বিবিকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। মূলত হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগেই তাঁর বোনের মরনোত্তর অঙ্গদান হয়েছে।
মৃতা জাহানারা বিবির ফুসফুস যাচ্ছে হায়দরাবাদে। দুটি কিডনি ও লিভার এসএসকেএমেই রোগীদের শরীরে স্থাপন করা হবে। তিনজন রোগী এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৩৫ এবং ২১ বছরের দুই পুরুষের শরীরে বসবে কিডনি। ২৫ বছরের যুবতী পাবেন লিভার এবং ফুসফুস স্থাপন করা হবে ৭২ বছরের বৃদ্ধার শরীরে।
[আরও পড়ুন: ভেঙেছে কাঁধের হাড়, স্থিতিশীল হলেও এখনও সংকট কাটছে না মদন মিত্রর]
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, সোমবার পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার ব্রেড ডেথ হওয়ার পর পরিবার তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও শহর কলকাতায় একাধিকবার অঙ্গদানের খবর উঠে এসেছে শিরোনামে। ব্রেন ডেথের পর ভিনরাজ্যে পাঠানো হয়েছে অঙ্গ। তবে সম্ভবত এই প্রথমবার কোনও সংখ্যালঘু পরিবার এমন উদ্যোগ নিয়ে অন্যদেরও পথ দেখাল।