সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশিতভাবেই লোকসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হল এনডিএ সরকার। ১২ ঘণ্টারও বেশি তীব্র বাদানুবাদের পর শেষবেলায় ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভোট শুরুর আগে এনডিএ-র পক্ষে ৩৩১ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল ২৬৪ জন সাংসদের সমর্থনের। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ১২৬টি। অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষেই বেশিরভাগ সাংসদ সমর্থন করেন। সরকারপক্ষে ভোট পড়ে ৩২৫টি ভোট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টিডিপির আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। আপাতত ২০১৯ পর্যন্ত বহাল তবিয়তেই সরকার চালনা করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[বিফলে রাহুলের ‘সহিষ্ণুতার পাঠ’, জবাবি ভাষণে চেনা ছন্দেই বিরোধীদের আক্রমণ মোদির]
আস্থা ভোটে বিরোধীদের পরাজয় হতে চলেছে সে ইঙ্গিত অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল। গতকালই বিরোধী শিবির থেকে বেরিয়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল বিজেপির জোটসঙ্গী শিব সেনা। আজ অবশ্য তারা কোনওদিকেই ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে সুবিধা পেয়ে যায় বিজেপি। ওড়িশার শাসকদল বিজু জনতা দলও অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই ওয়াক-আউট করে। ফলে আরও সুবিধা পেয়ে যায় এনডিএ। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যে কেসিআর ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরির স্বপ্ন দেখছিলেন সেই কেসিআরের দলই এদিন বিরোধী শিবিরের সঙ্গ দিল না। তারাও টিডিপির আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি। ভোটদানে বিরত থাকে তারাও। বিরোধী শিবিরের এই ভাঙনের ফলেই সুবিধা পেয়ে যায় এনডিএ। তাছাড়া এনডিএ জোটের বর্তমান শরিকরাও ভোট দেয় সরকারের পক্ষেই। সরকারের পক্ষে ভোট দেন জেডিইউয়ের দুই সাংসদও। অনাস্থা প্রস্তাবে ব্যর্থ হলেও আদতে রাজনৈতিক ফায়দায় দেখছে বিরোধীরা। কারণ, আস্থা ভোটের মধ্যে দিয়ে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল কোন কোন দল বিরোধী শিবিরে রয়েছে আর কোন কোন দল এনডিএর দিকে ঝুঁকে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে সমাজবাদী পার্টি, আরজেডির মতো দলগুলি যেখানে বিরোধী শিবিরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সেখানে শিব সেনা, টিআরএস, বিজেডির মতো দলগুলি এখনও নিজেদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
The post মোদিতেই ভরসা সংসদের, তীব্র বাদানুবাদের পর আস্থা ভোটে জয় এনডিএ-র appeared first on Sangbad Pratidin.