সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত আইন PMLA-তে বড় বদল আনার পথে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০০২ সালে চালু হওয়া এই আইন সংশোধন করে এবার প্রতারকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেটা ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়ার অধিকার দিতে চায় মোদি সরকার। তবে একই সঙ্গে একাধিক আর্থিক অপরাধকে পিএমএলএ আইনের আওতা থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আর্থিক অপরাধের শাস্তিও লঘু হয়ে যাবে কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনেই কেন্দ্র প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) একটি সংশোধনী আনবে। ওই আইনে যোগ করা হবে 'বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে'র অনুচ্ছেদ। যার ফলে তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রতারকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরাসরি তুলে দিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলির হাতে। ব্যাঙ্ক নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেই সম্পত্তি নিজেদের মতো ব্যবহার করতে পারবে। এই আইন পাশ হয়ে গেলে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিদের (Nirav Modi) মতো পলাতক ঋণখেলাপিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা কমবে ব্যাঙ্কগুলির।
[আরও পড়ুন: ভোটে ধাক্কার পরেই ‘অন্নদাতা’দের কল্যাণ মোদির! ১৪ শস্যের MSP বাড়াল কেন্দ্র]
এর বাইরেও আর্থিক প্রতারণা আইনে একাধিক বদল আসতে পারে। আসলে গত বছর শেষের দিকেই দণ্ড সংহিতা চালু করেছে কেন্দ্র। সেই দণ্ড সংহিতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বদল আনা হবে পিএমএলএ আইনেও (PMLA Act)। এতদিন আর্থিক প্রতারণা আইনে মোট ৪৩ রকমের অপরাধের তদন্ত করত ইডির মতো সংস্থাগুলি। এবার সেটা কমে হবে ৩১টি। অর্থাৎ বেশ কিছু অপরাধকে আর্থিক অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই অপরাধগুলিতে শাস্তির পরিমাণ বাড়বে না কমবে সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা, আড়াই দশক পর ওড়িশায় ‘কুরসি বদল’ নবীন পট্টনায়েকের]
সরকারি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নতুন পিএমএলএ আইনের রূপরেখা তৈরি করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অতি দ্রুত এই সংশোধনী আনা হতে পারে। সম্ভব হলে বাদল অধিবেশনেই আইনটি পাশ করিয়ে নিতে চায় মোদি সরকার।