সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এগিয়ে আসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ৫ অক্টোবর থেকে বল গড়াবে বিশ্বকাপের। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৮ তারিখ। তার আগে বড় স্বস্তি পেলেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)।
বধূ নির্যাতন মামলায় এই প্রথম হাজিরা দিলেন ভারতের তারকা পেসার। আলিপুর পুলিশ কোর্টে শামি এবং তাঁর দাদা হাসিব আহমেদ হাজিরা দেন। শামি ও তাঁর দাদার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। জামিন দেওয়া হয় শামি ও হাসিবকে।
২০১৮ সালের মার্চে শামি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পরকীয়া, নির্যাতন এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন হাসিন। যে জল আস্তে আস্তে বহুদূর গড়ায়। লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেও পাঠানো হয়েছিল শামিকে। কিন্তু শামি প্রতিবারই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেন। স্বামীর বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগও তোলেন তিনি। কিন্তু সে অভিযোগ থেকেও মুক্তি পান শামি। হাসিন দাবি করেন, সংসার চালানোর জন্য অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন শামি। তাতেও স্বপক্ষে যুক্তি দেন ক্রিকেটার। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে তদন্ত করছিল। একাধিকবার তাঁকে তলব করার পরও তিনি হাজিরা দেননি। আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। তাঁর এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, গার্হস্থ্য হিংসা, শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয় চার্জশিটে। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয় চার্জশিটে।
[আরও পড়ুন: ট্রফি হাতে থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ রঘু, মন জিতে নিল রোহিতের টিম ইন্ডিয়া]
২০১৯ সালের ২৯ অগস্ট শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আলিপুরের এসিজেএম কোর্ট। ওই বছর ৯ সেপ্টেম্বর আলিপুর জেলা দায়রা আদালত ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। মামলাটি প্রায় চার বছর বিচারাধীন ছিল। পরে জেলা দায়রা বিচারকের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হাসিন। সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসিন। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, এক মাসের মধ্যে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই মতো জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আলিপুর জেলা আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। সেই মামলার শুনানিতেই শামিকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন জামিন পেলেন শামি।