দুলাল দে: স্প্যানিশ কোচ হাবিয়া থাকছেন। তবে আসন্ন আই লিগে (I League) মহামেডানের (Mohammedan SC) ভাল ফলের জন্য টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (Technical Director) হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হল ভবানীপুরের কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকেও। আই লিগে কোন পথে চলবে দল? তা ঠিক করার জন্য শুক্রবার হাবিয়া আর শংকরলালকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন মহামেডান কর্তারা। তারপরেই সামনের সপ্তাহ থেকে সাদা–কালো ফুটবলারদের সঙ্গে হোটেলের বায়ো বাবলে প্রবেশ করবেন শংকরলাল (Shankarlal Chakraborty)। এদিকে, আবার এদিনই মহামেডানের হয়ে আই লিগ খেলার জন্য কলকাতায় চলে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
আই লিগের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জনের সময় মহামেডানের কোচ ছিলেন ইয়ান ল’। এরপর শিল্ডের সময় সাদা–কালো শিবিরে স্পেন থেকে কোচ করে আনা হয় হাবিয়াকে। কিন্তু শিল্ডের মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল, কোচের দল গঠন নিয়ে খুশি হতে পারছিলেন না কর্তারা। এদিকে সারা বছরের চুক্তি। ফলে ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তখন ঠিক হয়, এমন একজন স্থানীয় কোচকে হাবিয়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে, যাঁর যথেষ্ট কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরই আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনে ভবানীপুর দলকে কোচিং করানো শংকরলাল চক্রবর্তীর কথা মাথায় আসে মহামেডান কর্তাদের। কিন্তু কোন পদে যোগ দেবেন শংকরলাল? ঠিক হয়, হাবিয়া যেরকম কোচ ছিলেন, সেরকমই থাকবেন। শংকরলালকে নেওয়া হবে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে। আলোচনায় ঠিক হবে কোচিংয়ের সময় দু’জনের ভূমিকা কী হবে?
[আরও পড়ুন: মান বাঁচাতে এবার এটিকে মোহনবাগানের কাছে ফুটবলার চাইল এসসি ইস্টবেঙ্গল]
এদিকে, এদিনই বাংলাদেশ থেকে চলে এলেন তাদের জাতীয় অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। এদিন কলকাতায় এলেও এখনই দলের সঙ্গে হোটেলে থাকতে পারবেন না তিনি। আইলিগের নিয়ম বিধি মেনে কোভিড টেস্ট করানো হবে। তারপরেই দলের সঙ্গে হোটেলে থাকবেন। এদিন কলকাতায় এসে জামাল বলেন, “বাংলাদেশ আর কলকাতায় সব কিছুই একই রকম। তাই মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হবে না। আমাদের মতো এখানেও সবাই ফুটবল ভালবাসে। তবে আফশোস তো একটা আছেই। আমাদের খেলা দেখতে মাঠে কোনও দর্শক আসবে না। এটাই যা খারাপ লাগছে।’’