দুলাদ দে: কোচ হওয়ার জন্য মরক্কো থেকে নিয়ম করে মহামেডান সচিব ওয়াসিম আক্রমকে ফোন করেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ করিম বেঞ্চারিফা। কিন্তু করিম নন, আই লিগে মহামেডান কোচের হটসিটে বসতে চলেছেন স্প্যানিশ কোচ হোসে হাভিয়া (Jose Hevia)। যিনি এর আগে আই লিগে কোচিং করিয়েছেন শিলং লাজংকে। আইএসএলের দল পুণে সিটি এফসির অ্যাকাডেমির কোচ হিসেবেও এর আগে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই হাভিয়াই এবার কোচ হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন মহামেডান স্পোর্টিংয়ের।
আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন চলকালীন ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ ‘ইয়ান ল’কে মাঠের বাইরের বিভিন্ন অভিযোগে সরিয়ে দেন সাদা-কালো কর্তারা। তখন সহকারী কোচ শাহিদকে কোচিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তারপরেই সাত বছর পর আই লিগের (I League) মূলপর্বে। মহামেডান কর্তারাও জানেন, এই দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই শাহিদের রিক্রুট। ফলে ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্কও বেশ ভাল। প্রথমত লাইসেন্স নেই। তার উপর আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে চলে গেলেও আই লিগের মূলপর্বে শাহিদকে দিয়ে কোচিং করানো যাবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। তবে শাহিদকে সহকারি কোচ হিসেবে রাখা হচ্ছে, এটা এখনই নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন: দলের বিপর্যয়ের দিনও নোট নিতে ব্যস্ত! ম্যাককালামকে নিয়ে হাসাহাসি নেটদুনিয়ায়]
শাহিদ যদি সহকারী কোচ হন, তাহলে দলের চিফ কোচ কে হবেন? কোচ হওয়ার জন্য করিম নিজেই যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু অনেকের থেকে পরামর্শ নেওয়ার পর করিমকে কোচ করতে চাইছেন না মহামেডান (Mohammedan Sporting Club) কর্তারা। বিভিন্ন এজেন্টের থেকেও নানা কোচের নামের তালিকা আসছে সাদ-কালো কর্তাদের কাছে। কর্তারা চাইছিলেন এমন কাউকে কোচের চেয়ারে বসাতে যাঁর আই লিগে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মহামেডান কর্তারা এখন দলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে চান। ফলে অভিজ্ঞ কোনও কোচকে চাইছিলেন তাঁরা। আর এভাবে ভাবতে গিয়েই শিলং লাজংয়ের প্রাক্তন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ার নাম মনে আসে। যিনি উয়েফা প্রো লাইেসেন্সের অধিকারী।
যেহেতু এদেশে কোচিংটাও করিয়েছেন, তাই হাভিয়াকে আই লিগের কোচ হিসেবে বেছে নিতে খুব একটা সময় ব্যয় করেননি সাদা-কালো কর্তারা। তাঁর সঙ্গে চুক্তি পাকা করে ফেলা হয়। সম্ভবত আজ-কালকের মধ্যে হোসে হাভিয়ার নামও নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করে দেবেন মহামেডান কর্তারা। তাঁকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতায় চলেও আসতে বলা হয়েছে। সেভাবেই ফুটবলারদের বলা হয়েছে, আই লিগের জন্য প্র্যাকটিস শুরু হবে ১৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় ডিভিশনের অনেক ফুটবলারকেই আই লিগের মূলপর্বেও রাখা হবে। তবে বিদেশি ফুটবলারের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন হাভিয়াই।