সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেমিফাইনাল হারের পর চরম অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ওড়িশা এফসির। ম্যাচ শেষের পর মোহনবাগান (Mohun Bagan) অধিনায়ক শুভাশিস বসুকে মারতে যাওয়ার অভিযোগ উঠল ওড়িশার ফুটবলারদের বিরুদ্ধে। শুভাশিস নিজেই জানান, খেলা শেষের পর হাত মেলাতে গিয়ে বিপক্ষ ফুটবলাররা মারতে এসেছিলেন তাঁকে।
রবিবার যুবভারতীতে আইএসএল (ISL) সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ছিল। প্রথম লেগে ২-১ ফলে জিতে রবিবার মাঠে নেমেছিল ওড়িশা। তবে রবিবার ম্যাচে বরাবরই দাপট ছিল সবুজ-মেরুন শিবিরের। ম্যাচের ২২ মিনিটে কামিন্সের গোলে সমতা ফেরায় হোম ফেভারিটরা। ইনজুরি টাইমে গোল করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন সাহাল। পরপর দুবার আইএসএল ফাইনাল খেলার খুশিতে যুবভারতীতে শুরু হয় অকাল দিওয়ালি।
[আরও পড়ুন: প্রায় ৬৩ হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্মে দিশেহারা ওড়িশা! সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন টুটু বোস]
কিন্তু হারের ধাক্কা মোটেই হজম করতে পারেনি ওড়িশা এফসি। তাই ম্যাচের পর বিপক্ষ অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলানো তো দূর, রীতিমতো মারতে উদ্যত হন রয় কৃষ্ণরা। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়টি জানান শুভাশিস। তিনি বলেন, "ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমার দিকে জল ছুড়ে মারে। হাতাহাতিও শুরু হতে পারত।" যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আর বেশি কিছু জানাননি মোহনবাগান অধিনায়ক।
ঘরের মাঠ যুবভারতীতে ফাইনাল খেলতে নামবে মোহনবাগান। সেটা নিয়েই বরং বেশি উৎসাহী অধিনায়ক শুভাশিস। ম্যাচের পর বলেন, "ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলা অবশ্যই খুব আনন্দের বিষয়। অধিনায়ক হিসাবে আমি গর্বিত আমাদের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে। আগেও বলেছিলাম আমরা কামব্যাক করব। আর মাত্র একটা ম্যাচ বাকি।" ফাইনাল জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী শোনাল মোহন অধিনায়ককে।