স্টাফ রিপোর্টার: ফুটবলারদের যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিল মোহনবাগান। সেই সঙ্গে ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দিলেন, এবার যদি ক্লাবের সাফল্য পাওয়ার মূলে কারও অবদান থাকে তাহলে একজনের নাম করতে হবে, তিনি হলেন সভাপতি টুটু বোস(Swapan Sadhan Bose)।
শুক্রবার সল্টলেক সংলগ্ন মাঠে প্র্যাকটিসের পর অর্থসচিব বলছিলেন, “ক্লাবের কাছে কারও কোনও বকেয়া রইল না। এমন কী ফুটবলারদের টাকাও আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। রাজু গায়কোয়াড়ও কিছু টাকা পেত। তাও আমরা মিটিয়ে দিলাম। আসলে মোহনবাগানে (Mohun Bagan) আজ যে ‘ফিল গুড’ পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার পিছনে যদি ম্যানেজমেন্টের কোনও কৃতিত্ব থাকে তাহলে তার জন্য একজনের নাম আসবে। তিনি আর কেউ নন, টুটু বোস।” প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, মোহনবাগানকে কিছুদিন আগে ফেডারেশন জানিয়ে ছিল, কিছু ফুটবলার-সহ প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: কোয়েসের সঙ্গে ঝামেলার জের, আগামী মরশুমে আইএসএলে নেই ইস্টবেঙ্গল]
এদিন যুবভারতীর গেটে কে বা কারা পোস্টার মেরেছে, নো আইএসএল, নো ইস্টবেঙ্গল। এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করে দেবাশিস দত্ত বলেন, “এই পোস্টার দেখে সত্যি হাসি পাচ্ছে। সমর্থকরা পোস্টার লাগিয়েছেন। তার মানে ক্লাবকর্তাদের উপর সমর্থকদের কোনও ভরসা নেই? আইএসএল পাঁচ বছর চলছে। কই এতদিন তো এই পোস্টার পড়েনি। তারমানে আগামী বছর মোহনবাগান খেলবে বলেই আইএসএলের গুরুত্ব বেড়ে গেল?” তারপর তিনি সরাসরি লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করে বলেন, “কোয়েসকে ধরে রাখতে না পারাটা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মস্ত বড় ব্যর্থতা। ওরা যেভাবে ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তা ভাবাই যায়না। ১৯২৫-এ ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে গিয়েছিল। আমরা প্রথমবার জাতীয় লিগ খেলতে পারিনি। সোজা কথা যখন যোগ্য হবে তখন ওরা আইএসএল খেলবে।” এদিকে পোস্টার প্রসঙ্গে ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার বলেন, “ফেসবুকে দেখলাম। সমর্থকরা আবেগের বশে করে ফেলেছে। একে গুরুত্ব না দেওয়া ভাল।”
The post ‘ত্রাতা’ সেই টুটু বোস! ফুটবলারদের যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিল মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.