স্টাফ রিপোর্টার: মিনার্ভার তিন ফুটবলার অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁরা জানেন না আদৌ সবুজ-মেরুন জার্সি পরে এবার খেলতে পারবেন কি না। অথচ অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন মোহনবাগানে খেলবেন বলে। কিন্তু দিনকে দিন পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে মনে হয় না সহজে জট কাটবে। কিংবা জট কাটার মতো পরিস্থিতি ক্লাবকর্তারা তৈরি করতে পারবেন।
মোহনবাগান এবার তিনজন ফুটবলার নিয়েছে মিনার্ভা থেকে। এঁরা হলেন সুখদেব সিং, মইনুদ্দিন ও অভিষেক আম্বেদকর। চুক্তি ছিল, এই তিনজনকে নিতে গেলে মিনার্ভাকে দিতে হবে ১৫ লাখ টাকা। মরশুমের শুরুতে সেইভাবেই কথা হয়েছিল। এই তিনজন যথারীতি ক্লাবের প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এঁদের সই করানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ? একটাই, ট্রান্সফার ফি এখনও দিতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে পুরনো ক্লাব এই তিনজনের ছাড়পত্র দেয়নি। অথচ তিনজনকেই প্রথম একাদশের মধ্যে রাখতে পারেন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী। কিন্তু সুখদেবদের অনিশ্চয়তা যায়নি।
কেন এই তিনজনের ট্রান্সফার ফি ক্লাব দিতে পারছে না? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মিনার্ভা নাকি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠাচ্ছে না। তাই নাকি ক্লাবের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। এমনই দাবি ক্লাবকর্তাদের। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলও এবার নিয়েছে মিনার্ভার ফুটবলার। অথচ তাদের সই করাতে কোনও সমস্যা হয়নি। ইস্টবেঙ্গলকে যদি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে পারে মিনার্ভা তাহলে কেন দেবে না মোহনবাগানকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবিরে।
[১৯ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]
তিন ফুটবলারের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, “অনেক আশা নিয়ে আমরা তিনজন মোহনবাগানে খেলব বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কোচও আমাদের প্রথম একাদশে রেখেই দল সাজাচ্ছেন। অথচ ক্লাব আমাদের এখনও সই করাতে পারল না। ক্লাব-কর্তাদের বারবার বলছি। কেউ কোনও কথাই শুনছে না। অথচ মিনার্ভার কর্তারা আমাদের একটা কথা জানিয়ে দিয়েছেন, যেদিন মোহনবাগান ট্রান্সফার ফি দেবে সেইদিনই তারা ছাড়পত্র পাঠিয়ে দেব।” সমস্যা হচ্ছে, ফুটবলারদের মনের যন্ত্রণা শোনার মতো কর্তা কোথায়? ফুটবলের সঙ্গে জড়িত লোকজনদের বাস্তব অভিজ্ঞতা খুব কম। শুধু প্র্যাকটিসের সময় থাকলেই হয় না, কীভাবে জট কাটাতে হবে তার জন্য সময় দিতে হবে। জোগাড় করতে হবে অর্থ। সবকিছু তালগোল পাকিয়ে বসে আছেন বর্তমান কর্তারা। ফলে সুখদেবরা জানেন না তাঁদের ভবিষ্যৎ কী।
[বুদ্ধই দেখিয়েছেন মুক্তির পথ, ৯ দিনের জন্য ভিক্ষুবেশে খুদে থাই ফুটবলাররা]
এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে সই করিয়েছে মোহনবাগান। বাকি পাঁচজন। এদিকে, ফুটবলারদের বিমা করানো হয়নি। তা ইদানীংকালে মোহনবাগানে হয়নি। প্রশ্ন উঠছে ফুটবলারদের চোট লাগলে এখন কী হবে? চিকিৎসার খরচ কে দেবে?
The post আদৌ সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলতে পারবেন? অন্ধকারে সুখদেবদের ভবিষ্যৎ appeared first on Sangbad Pratidin.