সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএলএস-এ অংশ নেওয়া নিয়ে নিজেদের শর্তে বুধবারও অনড় থাকল মোহনবাগান৷ এদিন ক্লাবে বৈঠকের পর ক্লাব কর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, দরপত্র তুললেও তা জমা দেবেন কিনা, তা নির্ভর করছে ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের সিদ্ধান্তের উপর৷ তিনি যদি আইএমজিআর-কে ক্লাবের শর্তপূরণে রাজি করাতে পারেন, তবেই আইএসএল-এ খেলবে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব৷
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার জন্য মূলত তিনটি শর্ত রেখেছে গঙ্গাপারের ক্লাব৷ এক, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি মকুব করতে হবে৷ দুই, কলকাতা থেকেই খেলার অনুমতি দিতে হবে৷ এবং তিন, সেন্ট্রাল পুলের লভ্যাংশ ক্লাবকে দিতে হবে৷ বুধবারই আইএসএল-এর দরপত্র তুলেছে ক্লাব৷ যা জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার৷ তাহলে আগামিকাল কি তা জমা দেবে না ক্লাব? এই প্রশ্নের উত্তরে বাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “ভারতের সংবিধান কতবার পাল্টেছে। আর এটা তো একটা সংস্থার টুর্নামেন্ট। তাই জমা দেওয়ার শেষ দিন কবে, এসব নিয়ে ভাবছি না। ওটা পাল্টাতেই পারে। বাংলায় ফুটবলে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলই সব। ওদের বাদ দিয়ে কিছু হবে না।”
[জাহির-সাগরিকার বাগদান পার্টিতে কী করলেন বিরাট-অনুষ্কা!]
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্নে বাংলার ক্লাবগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গে বলেছিলেন, কোনওভাবেই যেন নিজেদের ন্যায্য দাবি থেকে সরে না আসে কোনও ক্লাব৷ এদিন সচিব অঞ্জন মিত্র বলেন, “আমাদের তিনটে শর্ত এআইএফএফ মেনে নিলে আমরা আইএসএল খেলছি। আমরা যে আন্দোলনে নেমেছি, তা আামাদের এক্সিকিউটিভ মেম্বারদের জানিয়ে দিয়েছি। তাঁরা সমর্থন জানিয়েছেন। কুশল দাস এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শোনার পর এআইএফএফ কী বলে তার ওপর আমাদের লড়াই নির্ভর করছে। বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য আমরা তৈরি।”
[পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কী চলছে বিরাটের মস্তিষ্কে?]
বৈঠকে হাজির ছিলেন বাগান সভাপতি টুটু বসুও। তিনি বলেন, “এক্সিকিউটিভ কমিটি আমায় এবং অঞ্জন মিত্রকে পুরো আইএসএলের ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য বলেছে। আমরা তা গ্রহণ করেছি। মোহনবাগানের যাতে ভাল হবে তার জন্য যার সঙ্গে কথা বলার যা করার আমরা করব।”