মোহনবাগান: ২ (কাউকো, ম্যাকহিউ)
মুম্বই: ২ (চাংতে,গ্রিফিথস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বির পরের ম্যাচে কিছুতেই জয় পায় না মোহনবাগান। ময়দানের এই মিথ ভাঙতে চেয়েই মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। কিন্তু ফেরান্দোর এই ইচ্ছা পূরণ হল না। মুম্বইয়ের কাছে ২-২ ফলে ম্যাচ ড্র করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গিয়েছিলেন লেনি। দশ জনে মিলে খেলেও সমতা ফিরিয়ে এনেছিল মোহনবাগান। জয় না পেলেও এই মরিয়া লড়াই বেশ স্বস্তি দেবে সমর্থকদের।
ম্যাচের প্রথমেই এগিয়ে যায় মুম্বই। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় গোল করেন লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন মুম্বই ফরোয়ার্ড। বারে লেগে গোলের জালে জড়িয়ে যায় বল। প্রথমে বুঝতে সমস্যা হলেও রেফারি জানিয়ে দেন, গোল করেছে মুম্বই। তবে গোল খেয়ে গেলেও লড়াই চালিয়ে যায় মোহনবাগান। বারবার গোলের মুখ খুলে ফেলেন লিস্টন-পেত্রাতোসরা। লিস্টনের একটি শট বারে গিয়ে লাগে।
[আরও পড়ুন:‘কঠিন সময়েও দলকে সমর্থন করুন’, প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারদের খোঁচা শাহিন আফ্রিদির]
প্রথমার্ধ্বে লাগাতার আক্রমণ করে দুই দলই। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে গোল শোধ করতে পারেনি ফেরান্দোর দল। তবে মোহনবাগানের একাধিক আক্রমণের ফলে সমর্থকদের মনে আশা জেগেছিল, নিশ্চয়ই ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারবে তাঁদের প্রিয় দল। দ্বিতিয়ার্ধ্বে নেমেই ৪৭ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। লিস্টনকে লক্ষ্য করে পাস বাড়িয়েছিলেন বুমোস। সেই পাস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় গোলে শট মারেন কাউকো। গোলকিপারের শরীর ঘেঁষে গোলের জালে বল জড়িয়ে যায়।
মোহনবাগান সমতা ফেরাতেই ফের আক্রমণ করতে শুরু করে মুম্বই। ৭২ মিনিটে ফের গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা নির্বিষ ক্রসে পা ছুঁইয়ে গোলের চেষ্টা করেন গ্রিফিথস। বারে লেগে সোজা উপরের দিকে উঠে যায় বল। ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সোজা গোলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন সবুজ মেরুন গোলকিপার বিশাল কেইথ।
৭৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান লেনি রডরিগেজ। দশ জনে খেললেও পালটা আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসেনি সবুজ মেরুন। ম্যাচের শেষ দিকে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন কার্ল ম্যাকহিউ। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই বাজিমাত। ৮৮ মিনিটে সমতা ফেরান তিনি। নিশ্চিত হারের মুখ থেকে দলকে টেনে তোলেন। অতিরিক্ত সময়ে ফের গোলের সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। তবে তা কাজে লাগানো যায়নি। নির্ধারিত সময়ের পর ২-২ ফলে ম্যাচ শেষ হয়।