স্টাফ রিপোর্টার: দু’বছর আগেই জানিয়েছিলেন। আবার নতুন করে সেই কথাগুলোই যেন মনে করিয়ে দিলেন মেহতাব হোসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিমানী মেহতাবের ঘোষণা, ‘ঘরোয়া লিগের পরেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চাই। আর খেলার ইচ্ছে আমার নেই।’
রবিবার জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান। ঘরোয়া লিগের তৃতীয় ম্যাচ। মহামেডান, ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট খোয়ানোয় মোহনবাগানিদের আট বছর পর লিগ জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বেড়েছে। সেই সময় মেহতাবের এই ঘোষণা দলের মধ্যে নতুন করে উসকে দিল বিতর্ক। প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে ভারতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ মিডিও কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন? ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তাঁকে সই করানো হয়েছিল। তাহলে তাঁর এই অভিমানী বক্তব্য কেন? এই প্রশ্নই এদিন মোহনবাগান তাঁবুতে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে পারবেন না ফুটবলাররা। তাই মেহতাব কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট করা মন্তব্যটি ভুলে ভরা নয়।
[বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে এবার সৌরভ! সুপ্রিম রায়ের পর বাড়ছে জল্পনা]
ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি নাকি জানিয়েছেন, তাঁর এই সরে দাঁড়ানোর মূল কারণ হল, যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মোহনবাগানে তিনি সই করেছিলেন, তা আদৌ পূরণ হচ্ছে না। বরং তাঁকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে হতাশার মধ্যে। আসলে মেহতাব নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। গত ম্যাচে তাঁকে খেলিয়েছিলেন শংকরলাল চক্রবর্তী। কোচের ভরসা তিনি রেখেছেন। দু’টি গোলই হয়েছে সেট পিস থেকে। সেই দু’টি সেট পিস নিয়েছিলেন মেহতাবই। তাঁর ফ্রি-কিক শট থেকেই গোল করেন ডিকা। একইরকমভাবে তাঁর নেওয়া কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে গোল করেছিলেন আজহার। আসলে মেহতাব সেদিন খেলে মোহনবাগান কোচকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে বসিয়ে রাখার পরিণাম দলের পক্ষে খুব একটা ভাল হবে না। মেহতাবের এক ঘনিষ্ঠ বলছিলেন, “আসলে মেহতাব বুঝে গিয়েছে, মোহনবাগানে এবার এসে ভুল করেছে। খেলার চেয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে বেশি। তাই মেহতাব অভিমান করে ফুটবল থেকেই সরে দাঁড়াতে চায়।”
রবিবার জর্জের বিরুদ্ধে খেলা। লিগ টেবলে জর্জ সবচেয়ে নিচে রয়েছে। খুব একটা ভাল খেলছে বলা যাবে না। তবু, মোহনবাগানে সতর্কতার শেষ নেই। আসলে মহামেডানের পর পয়েন্ট খুইয়ে বসেছে ইস্টবেঙ্গলও। তাই এদিন প্র্যাকটিসের পর দেখা গেল পুরো দলকে নিয়ে অনেকক্ষণ কোচকে মিটিং করতে। সেই মিটিংয়ে কোচ ফুটবলারদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনওমতে আত্মতুষ্টি যেন দলের মধ্যে গ্রাস না করে বসে। ৯০ মিনিট পুরো লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। দলের রেজাল্ট যাই হোক না কেন।’ জ্বর থেকে সেরে উঠলেও হেনরি খেলছেন না। যেহেতু পুরোপুরি দুর্বলতা কাটেনি।
[উইকেট নিয়ে মধ্যমা প্রদর্শন, পাক বোলারের আচরণে নিন্দার ঝড় নেটদুনিয়ায়]
The post ঘরোয়া লিগের পর সরে দাঁড়াতে চাই, ঘোষণা অভিমানী মেহতাবের appeared first on Sangbad Pratidin.