রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: মোহনবাগান সভাপতি স্বপনসাধন বোসের স্ত্রী শম্পা বোস প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শম্পাদেবী। দুবাইয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা চলছিল। বুধবার দুবাই থেকে কলকাতা আসার পথে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন শম্পাদেবী। এয়ারপোর্ট থেকেই তাঁকে তড়িঘড়ি বেলভিউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত কয়েকমাস টানা স্ত্রী’র সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগান সভাপতি। এমনকী, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মোহনবাগান দিবসেও প্রাণাধিক প্রিয় ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত থাকতে পারেননি টুটুবাবু। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্ত্রীর পাশে ছিলেন তিনি। আসলে জীবনের সমস্ত কঠিন সময়ে স্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন টুটুবাবু। তিনি মনে করেন, তাঁর যাবতীয় সাফল্যে স্ত্রীর অবদান সবচেয়ে বেশি। তাঁকে সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ে তোলার পিছনেও শম্পাদেবীকেই কৃতিত্ব দেন মোহনবাগান সভাপতি।
[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে কি আদৌ দেখা যাবে ATK Mohun Bagan-কে? বাড়ছে সংশয়]
শম্পাদেবীর জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ জুন। মায়ের নাম সুভদ্রা শ্রীমানী। বাবা দীপ্তি নারায়ণ শ্রীমানী। রেখে গেলেন দুই ছেলে, পুত্রবধূ, দুই নাতি এবং এক নাতনিকে। শম্পাদেবী নিজে রবীন্দ্রপ্রেমী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কবিগুরুর গান, কবিতা সবই ভীষণ পছন্দ ছিল তাঁর। তাঁর প্রয়াণে বসু পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হাসপাতালে গিয়ে শোকপ্রকাশ করে আসেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লিখিত শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী শম্পাদেবীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান,” শম্পা দেবী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংস্থা ও জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে জনজীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হল।” স্বপনসাধন বোস, সৃঞ্জয় বোস-সহ শম্পা বোসের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।