স্টাফ রিপোর্টার: বুধবারের ডার্বিতে থাকছে না মোহনবাগান৷ এরকমই সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে৷ যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সময়ে তাঁরা দল নিয়ে ফাঁকা মাঠেই নামবেন৷
কল্যাণীর অস্থায়ী গ্যালারি ফিট নয়৷ সোমবার সকালে স্টেডিয়াম ঘুরে, সংশ্লিষ্ঠ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসে মোহনবাগানকে চিঠি দিয়ে জানালেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়৷ এমনটাই আশঙ্কা ছিল মোহনবাগানেরও৷ মোহনবাগান তাদের শেষ চিঠিতে জানিয়েছে মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক৷ তবে তারা খেলবে৷ কিন্তু আইএফএ সচিব ম্যাচ পিছিয়ে দিতে নারাজ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই নিয়মমাফিক দু’দলের ম্যানেজার্স মিটিং ডেকে দেওয়া হয় আইএফএ-র পক্ষ থেকে৷
পরিস্থিতি অনুযায়ী আবার ৭২ অথবা ৮৫ সালের ঘটনা ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ এই দুই সালেই বড় ম্যাচ না খেলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল৷ ঘটনা প্রবাহ এবারও সেদিকেই যাচ্ছে৷ ইস্টবেঙ্গল আগেই জানিয়েছিল, বড় ম্যাচের দিন পিছোলে তাদের পক্ষে খেলা সম্ভব নয়৷
কল্যাণী ঘুরে এসে আইএফএ সচিব মোহনবাগানকে চিঠিতে জানান, পিডব্লিউডি’র পরামর্শ অনুযায়ী অস্থায়ী গ্যালারি বাতিল করা হচ্ছে৷ ফলে দর্শক সংখ্যাও কমে হয়ে যাচ্ছে সাড়ে সাত হাজার৷ সে ক্ষেত্রে দুই ক্লাবের সদস্যদের জন্য দু’হাজার করে টিকিট দেওয়া হবে৷ আইএফএ নেবে সাড়ে তিন হাজার৷ নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সর্তক করে দেওয়ার জন্য বাগান-সচিবকে কৃতজ্ঞতাও জানান আইএফএ সচিব৷
মোহনবাগানের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, সদস্যদের কথা ভেবে অনুগ্রহ করে টিকিটের সংখ্যা আরও দু’হাজার বাড়িয়ে দেওয়া হোক৷ এবং বড় ম্যাচ নিয়ে আইএফএ এতদিন নিশ্চিত না থাকায়, দল অনিশ্চয়তায় ভুগেছে৷ ফলে যাবতীয় ব্যবস্থা করেও অনুশীলন করে উঠতে পারেনি৷ ফলে ওই মাঠে অনুশীলনের জন্য অন্তত আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় দিতে হবে৷
মোহনবাগানের চিঠি পাওয়ার পর আইএফের তরফ থেকে জানানো হয়, আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়৷ ম্যাচ বুধবারই হচ্ছে৷ পিছিয়ে দেওয়ার আর কোনও উপায় নেই৷ সম্ভব হলে পিছিয়ে দেওয়া হত৷ ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গলও আইএফএকে মনে করিয়ে দেয়, ম্যাচ পিছোলে তাদের পক্ষে খেলা সম্ভব নয়৷ এনিয়ে মোহনবাগানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, আইএফএ সচিব বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন৷ তিনি সভাপতি টুটু বোসের সঙ্গে গোপন মিটিংয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মোহনবাগান টালিগঞ্জ ম্যাচটি পরে খেলতে রাজি হলে, ডার্বির দিন পিছিয়ে দেওয়া হবে৷ সেই মতো রাজি হয়েছিলেন সভাপতি৷ তিনি মোহনবাগান কর্তাদের বুঝিয়ে রাজি করার দায়িত্বও নিয়েছিলেন৷ কিন্তু আইএফএ সভাপতি সেই প্রতিশ্রুতির খেলাপ করলেন৷ তারপরই সহ সচিব সৃঞ্জয় বোস সভাপতির পাঠানো এসএমএস সংবাদমাধ্যমকে পড়ে শোনান৷ এনিয়ে প্রশ্ন করলে আইএফএ সচিব অবশ্য প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, মোহনবাগান যেটা করল ঠিক করল না৷ মোহনবাগান সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই বসেছিলেন তিনি৷ এরকম অনেকের সঙ্গেই মিটিং করেন৷ তবে, প্রতিশ্রুতি নয় ভেবে দেখার কথাই জানিয়েছিলেন তিনি৷
The post বুধবার ডার্বি হলে থাকছে না মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.