স্টাফ রিপোর্টার: ডার্বি না খেলাকে খোলা মনে মেনে নিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা৷ বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসের পর ক্লাবের দুই শীর্ষকর্তা সহসচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত আলোচনায় বসেন ডাফিদের সঙ্গে৷ সেই আলোচনায় কর্তারা তুলে আনেন নানা প্রসঙ্গ৷ যার মধ্যে ছিল টালিগঞ্জ ম্যাচের ন্যায্য তিনটে গোল বাতিল৷ ৪ হাজার টিকিটের দাবি না মেনে নেওয়ার প্রসঙ্গ৷ কল্যাণীতে কমপক্ষে একটা দিন প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেওয়ার দাবি ইত্যাদি৷
সেইসব দাবি না মানায় তাঁরা ডার্বি না খেলার সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত করে ফেলেন৷ ফুটবলারদের সামনে এইসব প্রসঙ্গ তুলে ধরার পর প্রত্যেকেই ক্লাব কর্তাদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান৷ সভার মধ্যেই ফুটবলাররা জানিয়ে দেন, ক্লাব যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তাঁদের সহমত রয়েছে৷ টেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ডাফি তো বলেই গেলেন, “ক্লাবের সঙ্গেই আমরা আছি৷ ক্লাব যা করেছে ঠিকই করেছে৷ এখন আমাদের সামনে তিনটি ম্যাচ বাকি৷ যেভাবেই হোক এই তিনটি ম্যাচ আমাদের জিততে হবে৷ তাহলেই আমরা বোঝাতে পারব, ডার্বি খেললে এবার আমরা কোথায় পৌঁছতে পারতাম৷”
মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও জানিয়ে দিলেন, মোহনবাগান ডার্বি না খেলে ঠিকই করেছে৷ “ডার্বি না খেলার পিছনে ক্লাবের একটা পলিসি ছিল৷ সেই পলিসিগুলো আজ ফুটবলারদের সামনে তুলে ধরলেন ক্লাব কর্তারা৷ আসলে টেকনিক্যাল কারণে ডার্বি খেলতে চায়নি ক্লাব৷ সেটাই ফুটবলারদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি৷ চেষ্টা করব বাকি তিনটে ম্যাচে যতটা সম্ভব জুনিয়রদের খেলানোর৷”
গত কয়েকদিন ধরে প্রাক্তন ফুটবলাররা মোহনবাগানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে সরব৷ কল্যাণীর মাঠে একদিন প্র্যাকটিস না করাকে বড় করে তুলে ধরেছেন বাগান কর্তারা, যা মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তনরা৷ সেই প্রসঙ্গে শঙ্করলালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি৷ এখন যাঁরা সমালোচনা করছেন, এক সময় তাঁরা ফুটবলার ছিলেন৷ তাঁরা ভাল করেই জানেন, যে মাঠে খেলা হবে, সেই মাঠে একদিন প্র্যাকটিস করা কতটা জরুরি৷ আসলে, তাঁরা এখন ফুটবলারের তকমা ছেড়ে কেউ কোচ, কেউ কর্তা হয়েছেন৷ ফলে যা খুশি তাঁরা বলতে পারেন৷” শনিবার আর্মির বিরুদ্ধে খেলবে বাগান৷ ওই ম্যাচ জেতা ছাড়া মোহনবাগান আর অন্য কিছু ভাবতে রাজি নয়৷
The post ক্লাব কর্তাদের পাশেই দাঁড়ালেন ডাফিরা appeared first on Sangbad Pratidin.