সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী সাংসদদের দাবি-দাওয়া নয়। সরকারপক্ষের আরজি নয়। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু অতিষ্ঠ বাঁদরের উৎপাতে। সরকার কিছু একটা ব্যবস্থা করবে এমনটাই আসা তাঁর।
[ নোট বাতিলের সুফল প্রমাণের দায় রিজার্ভ ব্যাংকেরই, মত উপরাষ্ট্রপতির ]
জাতীয় রাজনীতির পারদ যেখানে চড়ে সেই রাজধানীই বাঁদরের উপদ্রবের শিকার। যে নেতারা একে অপরকে ঘোল খাওয়াচ্ছেন তাঁরা বাঁদরের প্রশ্নে একজোট হয়ে যাচ্ছেন। গোটা রাজধানীতেই বাঁদরের উৎপাত বেশ বেশি। সাধারণ মানুষ অবশ্য একে নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সাংসদরা পড়েছেন বেশ বিপাকে। অধিবেশনের জিরো আওয়ারে একজন এ প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, বাঁদরে সব ছারখার করে দিচ্ছে। বাগানের গাছ নষ্ট করে দিচ্ছে। এমনকী জামা-কাপড় নিয়েও পালাচ্ছে। একজন সাংসদ তো নির্দিষ্ট সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বাঁদরের দল নাকি তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। সাংসদদের এ কথা শুনে হেসে ফেলেন খোদ উপরাষ্ট্রপতি। বলেন, তাঁর সরকারি বাসভবনকেও অবশ্য শাখামৃগরা রেয়াত করছে না। ফলে বাঁদরের উপদ্রবে তিনিও বেশ তিতিবিরক্ত। বলতে বলতেই তিনি মজা করে বলেন, নিশ্চয়ই কাছাকাছি কোথাও মানেকা গান্ধী নেই। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী তাঁর পশুপ্রেম ও পশুদের অধিকার রক্ষার কাজকর্মের জন্যও বিখ্যাত। তাই মজা করে এ কথা বলেন বেঙ্কাইয়া। তবে এর সমাধান কীসে? গোটা রাজধানীকেই তটস্থ করে রেখেছে বাঁদররা। আপাতত কারওরই হাতে কোনও সমাধান নেই। তবে বাঁদরকুলকে তাড়াতে সরকার কিছু একটা ব্যবস্থা নেবে এমনটাই মনে করছেন তিনি। সংসদ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় গোয়েলকে উদ্দেশ্য করেই এ কথা বলেন তিনি।