সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh) বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার টহলদারির পদ্ধতি ঐতিহ্যবাহী ও সুপরিকল্পিত। পৃথিবীর কোনও শক্তি আমাদের সেনাদের টহলদারি রুদ্ধ করতে পারবে না।’’ কিন্তু সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর লাদাখের (Ladakh) দেপসাং উপত্যকার ক্ষেত্রে অন্তত ছবিটা তেমন নয়। মে মাসে চিনের (India-China standoff) সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর আগে থেকেই ভারতীয় সেনার টহলদারির প্রথাগত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মার্চ-এপ্রিল থেকেই দেপসাংয়ের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-য় ভারতীয় সেনার টহলদারি রুদ্ধ করে রেখেছে চিনা সেনা। প্রসঙ্গত, এই পাঁচটি পেট্রোলিং পয়েন্টই প্রকৃত সীমান্তরেখার খুব কাছে। তবে কাছে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেই অঞ্চলটি ভারতীয় ভূখণ্ডেরই অন্তর্গত।
[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৯০ শতাংশই খরচ করেনি যোগী সরকার, শুরু বিতর্ক]
যে পরিমাণ অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের টহলদারি রুদ্ধ করা হয়েছে তার পরিমাণ সরকারি সূত্র কমিয়ে জানালেও অন্তত ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ভারতীয় সেনার কাছে অগম্য হয়ে রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনের দাবি। সরকারি এক উপদেষ্টা সংস্থা ‘চায়না স্টাডিজ’-এর এক প্রাক্তন সদস্য জানিয়েছেন, চিনের কৌশলগত ও তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপের কারণেই ওই এলাকায় পরিস্থিতির এই পরিবর্তন। ভারতীয় সেনার টহলদারি বন্ধ করতে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি কেবল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করেছে তাই নয়। তারা ঢুকে পড়েছে পেট্রোলিং পয়েন্টের অঞ্চলেও।
[আরও পড়ুন : এক দশকের পুরনো মামলায় NIA’র সক্রিয়তা, তৃতীয়বার জেরার মুখে ছত্রধর মাহাতো]
প্রসঙ্গত, চিন যে ভারতের জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে, গত বৃহস্পতিবার সংসদে তা সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওইদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চিন এখনও বেআইনিভাবে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে রেখেছে। রাজনাথ সিং আরও জানান, ভারত নিজেদের সীমানা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। চিন সীমান্তে আরও বেশি পরিকাঠামো গড়তে প্রতিরক্ষায় বাজেট বরাদ্দও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
The post দেপসাংয়ে ভারতীয় সেনার পথ আটকেছে চিনা ফৌজ, থমকে টহলদারি appeared first on Sangbad Pratidin.