সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একে পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। আর তারজেরেই এখন রীতিমতো বিপাকে পড়েছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। আর এবার গণপিটুনি ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি, মোদি জমানার তুলনায় ২০১১, ২০১২, ও ২০১৩ সালে অনেক বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
[নির্যাতিতার ভাই ধর্ষক! চাঞ্চল্য হরিয়ানার রোহতকে]
পশু হাটে বা পশু বাজারে মাংস খাওয়ার জন্য বা ধর্মীয় কারণে বলি দেওয়ার জন্য গবাদি পশু বিক্রির পর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। আর নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে গো-রক্ষকরা। গো-রক্ষার নামে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা সামনে আসছে। দিন কয়েক আগে হরিয়ানার বল্লভগড়ে চলন্ত ট্রেনে গণপিটুনির শিকার হয় জুনেইদ নামে এক কিশোর। এরপর গণপিটুনির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে নাগরিক সমাজ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গণপিটুনি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কড়া বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনও বদল হয়ইনি, বরং প্রধানমন্ত্রীর যেদিন কড়া বার্তা দেন, সেদিনই ঝাড়খণ্ডে রামগড়ে গো-মাংস বহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি যা বলেছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শনিবার গোয়াতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, তিন বছরের মোদি জমানায় দেশে যত গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, তার তুলনায় অতীতে প্রতি বছর অনেক বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটত। বস্তুত, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি যে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত, তাও স্মরণ করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে যখন মহম্মদ আখলাককে খুন করা হয়, তখন সে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সমাজবাদী পার্টি। তাই এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার দায়টা একান্ত অখিলেশ যাদবের সরকারেরই ছিল।
[নারকীয়! পরপর চারবার অ্যাসিড হামলার শিকার নির্যাতিতা]
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে বাড়িতে গো-মাংস রাখার অভিযোগে মহম্মদ আখলাক নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল উন্মত্ত জনতা।
The post ‘এনডিএ জমানার আগে অনেক গণপিটুনির ঘটনা ঘটত’ appeared first on Sangbad Pratidin.