সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ হল, ডোকলামও রয়েছে। এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথের দিকে নজর পড়েছে ড্রাগনের। জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে লালফৌজ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। চিন ছাড়াও ভারত-নেপালেরও সীমান্ত ওই গিরিপথ। লালফৌজের মতলব ভাল নয় আন্দাজ করেই উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ওই এলাকায় সেনা ও ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।
লিপুলেখ কূটনৈতিক ভাবে নয়াদিল্লির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি নেপালের পার্লামেন্টে মানচিত্র সংশোধনী বিলে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার সঙ্গে লিপুলেখ গিরিপথও নেপালের ভূখণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে। নয়াদিল্লির আপত্তি সত্ত্বেও বিল নিয়ে ভারতের হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করেননি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। প্রসঙ্গত, তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবর যেতে প্রাচীনকাল থেকে এই লিপুলেখ গিরিপথ পুণ্যার্থীরা ব্যবহার করেন। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ধরচুলা থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার সড়কও বানিয়েছে ভারত। গত মে মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ওই সড়কের উদ্বোধন করার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নেপাল। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, নেপালের ওই লম্ফঝম্ফের পিছনে বেজিংয়েরই উসকানি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনায় গোর্খাদের যোগদান নিয়ে আপত্তি, চুক্তি বাতিলের পথে নেপাল]
ভারতীয় সেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, লিপুলেখ গিরিপথের কিছুটা দূরে প্রায় ১,০০০ চিনা সেনা তাঁবু গেড়ে বসেছে। সঙ্গে থাকা অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদের পরিমাণ থেকে এটাও স্পষ্ট, যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েই তারা এখানে ঘাঁটি গেড়েছে। উত্তর সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতেও সম্প্রতি লালফৌজের তৎপরতা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি ও কাঠমাণ্ডুর মদত ছাড়া লালফৌজ লিপুলেখে অবস্থান করতে পারবে না। লাদাখ নিয়ে সংঘাতের মধ্যে উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও ড্রাগনের লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে নজর রেখেছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে ভারতীয় সীমান্তে এখনও মোতায়েন বহু চিনা সেনা, উপগ্রহ চিত্রে মিলল প্রমাণ]
The post এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখে ঘাঁটি গাড়ল লালফৌজ, চিনের মতলব ভাল নয় বলছে সেনা appeared first on Sangbad Pratidin.