সুকুমার সরকার, ঢাকা: জাতীয় গ্রিড বিকলের জের। মহানবমীতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। আঁধারে ডুবল রাজধানী ঢাকা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের।
মঙ্গলবার দুপুর দু’টো নাগাদ বাংলাদেশে জাতীয় গ্রিডে একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। তার ফলে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, রাজবাড়ি, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ-সহ বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধে ৭টার সময় রাজধানী ঢাকা-সহ কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ আসে। পিজিসিবির সূত্রের খবর, যথাসম্ভব দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে৷ পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দশমীতে নিরাপত্তায় প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ ডিজে]
বিতরণ কোম্পানিগুলির দাবি, বিকল্প উপায়ে হাসপাতাল, সরকারি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চলছে। ঘোড়াশাল, টঙ্গি-সহ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবির চট্টগ্রাম শাখার প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, “আমাদের ইস্টার্ন গ্রিডে বিভ্রাটের ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে।” জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগের একটি এবং তৃতীয় পক্ষের একটি কমিটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ খুঁজে বের করবে।”
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ফলে দুপুর ২টো থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত দুর্গাদর্শনও কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তার ফলে পুজোর আনন্দের যে তাল কেটেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এছাড়া তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে বহু মানুষ ভোগান্তির শিকারও হন।