সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে মরক্কো। আফ্রিকার একমাত্র দেশ হিসেবে শেষ আটে পৌঁছেছে ইয়াসিন বোনোরা। খেলার পরেও মরোক্কান ফুটবলাররা উসকে দিয়েছেন নতুন বিতর্ক। প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে উদযাপন করেছেন ইয়াসিন বোনোরা। আর এর ফলে ফিফার শাস্তির মুখে পড়তে পারে মরক্কো। জরিমানা করা হতে পারে তাদের। কারণ ফিফার নিয়মানুযায়ী, রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামে পতাকা বা ব্যানার প্রদর্শন করা যাবে না। ফিফার নিয়মানুযায়ী তা নিষিদ্ধও বটে। যদিও এখনও পর্যন্ত ফিফার তরফে কোনও শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়নি।
২০১০ সালের বিশ্বকাপে একমাত্র আফ্রিকান দেশ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল ঘানা। এবার আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি মরক্কো। মাঠে ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি মাঠের বাইরে প্যালেস্টাইনের পতাকা উড়িয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন হাকিমি-বোনোরা। এর আগে কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষেও একই ভাবে উদযাপন করেছিল মরক্কো। প্রশ্ন হচ্ছে, প্যালেস্টাইনের পতাকা উড়িয়ে কী বার্তা দিতে চাইল মরোক্কানরা?
প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছে বহু যুগ ধরে। প্যালেস্টিনীয়দের উপরে ইজরায়েলের অত্যাচারের প্রতিবাদ মরোক্কান ফুটবলাররা করেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। এবারের বিশ্বকাপে প্যালেস্টিনীয়দের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরা হচ্ছে, স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে সরব হচ্ছেন মরোক্কান ফুটবলাররা। ফুটবলের পাশাপাশি তাঁদের রাজনৈতিক সচেতনতাও প্রকাশ পাচ্ছে।
মরক্কোর ফুটবলাররা প্যালেস্তাইনের পক্ষে, দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থনও রয়েছে প্যালেস্তাইনের দিকে কিন্তু মরোক্কান রাজ পরিবার কিন্তু এর উলটো মেরুতে। বিভিন্ন সময়ে মরোক্কান রাজ পরিবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলের দিকে। সাধারণ মানুষ বা ফুটবল-তারকারা অবশ্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের দাবি তোলেন খেলার মাঠেই। মরোক্কান ফুটবলারদের এহেন রাজনৈতিক বার্তার পরে ফিফা কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।