সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) আগে সংসদে জারি হওয়া শব্দ ‘ফতোয়া’র অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। একের পর এক টুইটে বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিমায় সরকারকে আক্রমণ করছেন মহুয়া (Mahua Moitra)। সংসদে যে শব্দগুলি অসংসদীয় হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলির পরিবর্ত হিসাবে প্রতিশব্দের একটি তালিকা তৈরি করছেন তৃণমূল সাংসদ। আর সেই অন্য শব্দগুলি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেই লুকিয়ে আসল কটাক্ষ।
বৃহস্পতিবার মহুয়া (Mahua Moitra) জানান, এবার থেকে ‘যৌন হেনস্তা’র বদলে ব্যবহার করা হবে ‘মিস্টার গগৈ’ শব্দটি। তৃণমূল সাংসদের নিশানায় ছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীনই গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার মহুয়া টুইট করে বললেন, ‘আইওয়াশ’ অর্থাৎ ‘চোখে ধুলো দেওয়া’র পরিবর্তে তিনি এবার থেকে ব্যবহার করবেন ‘অমৃতকাল’ শব্দটি। এবারে মহুয়ার নিশানায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: দলত্যাগ বিরোধী আইনে সিদ্ধান্ত হোক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে, চাইছেন স্পিকার ওম বিড়লা]
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে বছরভর আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছে কেন্দ্র। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত এই ২৫ বছর সময়কে ‘অমৃতকাল’ (Amritkal) হিসাবে বর্ণনা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহুয়া (Mahua Moitra) বোঝাতে চেয়েছেন, এই ‘অমৃতকাল’ আসলে ভাঁওতাবাজি বা আইওয়াশ। এখানেই শেষ নয়, সংসদে বেশ কিছু শব্দ বাতিল করা হলেও কোন কোন শব্দ এখনও ব্যবহার করা যাবে, তারও একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানেও রয়েছে বিজেপিকে (BJP) কটাক্ষ। মহুয়া যে শব্দগুলি ব্যবহার করার তালিকা দিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে বুলডোজার, থোক দো, গোলি মারো…, ঘর মে ঘুস কে মারা, লাল আঁখ সে। এই শব্দগুলি আবার বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের ঋণে সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাংক, কাঠগড়ায় মোদি সরকারের দিশাহীন অর্থনীতি]
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের আগে শব্দ ‘ফতোয়া’ জারি হয়েছে সংসদে (Parliament)। একগুচ্ছ শব্দতালিকা প্রকাশ করেছে লোকসভার সচিবালয় যা কিনা অসংসদীয়। ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দগুলিকে রাখা হয়েছে এই তালিকায়। কংগ্রেস (Congress) থেকে তৃণমূল (TMC) সকলেরই বক্তব্য, আদতে বিরোধী কণ্ঠরোধ করাই সরকারের উদ্দেশ্য।