ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্ত বৈঠকেও গলল না বরফ। বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, দিন দুই আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাংসদ পদ ছাড়তে চান, এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না।
গত কয়েকদিন ধরেই মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chakraborty) কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। আসলে গত তিন দিনে একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সোমবার ইস্তফা দিয়েছেন নিজের এলাকার দুটি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে। মঙ্গলবার ইস্তফা দেন সংসদের দুটি পদ থেকে। সাংসদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য সরাসরি নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক ঠিক হয় বৃহস্পতিবার। এদিন মমতার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেও সেই বৈঠক শেষ হয় মিনিট পনেরোর মধ্যেই।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
বৈঠক শেষে মিমি যা বলে গেলেন তা রীতিমতো বিস্ফোরক। অভিমান ঝরে পড়েছে তৃণমূল সাংসদের কথায়। মিমি বললেন, “রাজনীতি আমার জন্য নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে? আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন। আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কি হলো।”
এর পরই মিমি জানান, “আমি দুদিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা গ্রহণ করেননি। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি পদক্ষেপ করেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি। যে দল আমাকে প্রার্থী করেছে তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দেবো।”
[আরও পডুন: ‘কাঁটার মুকুট লাগে ভারী’, বিধানসভায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ‘ক্লান্ত’ মদনের]
এরপরই ‘অভিমানী’ মিমি ঘোষণা করেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) আর প্রার্থী হতে চান না তিনি। তিনি স্পষ্ট বলেন,”আইনত রাজনীতি থেকে সরতে যা যা করার সেটা আমি করেছি। দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আর প্রার্থী হতে চাই না।”