সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহবধূর উপস্থিত বুদ্ধির জের৷ ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচল বছর দশের নাবালিকা৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিরসা এলাকায়৷ অভিযুক্ত ওই গৃহবধূরই স্বামী৷ নাম সাকু নেতাম(২৫)৷ এদিকে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে স্বামী, বুঝতে পেরেই চেঁচামেচি শুরু করেন স্ত্রী৷ ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সাকু৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছেন নাবালিকার অভিভাবকরা৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও বিনা অনুমতিতে অন্যের বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত৷
[‘মৃত্যুদণ্ডও যথেষ্ট নয়’, দৃষ্টান্তমূলক সুপ্রিম রায়ের অপেক্ষায় নির্ভয়ার মা]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ সাকুর আচরণে অসঙ্গতি দেখেন তার স্ত্রী সাকু৷ বাড়িতে ঢুকে চুপচাপ বেরিযে যাচ্ছিল৷ সন্দেহ হতেই স্বামীর পিছু নেন ওই মহিলা৷ দেখেন প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকছে সাকু৷ না জানিয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকতে অস্বস্তি হচ্ছিল ওই গৃহবধূর৷ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর কোনও সাড়াশব্দ না আসায় সেই বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি৷ দেখেন বাড়ির শিশুকন্যাকে বিবস্ত্র করছে তাঁর স্বামী৷ এই দেখেই চেঁচামেচি শুরু করেন ওই গৃহবধূ৷ এদিকে হাতেনাতে ধরে পড়ে গিযেছে বুঝতে পেরে তখনই চম্পট দেয় অভিযুক্ত৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী পরিবারটির সঙ্গে ভালরকম সখ্যতা ছিল সাকুর৷ সে প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করত৷ সেই সূ্ত্রেই বাচ্চাটি তাকে চিনত৷ সেকারণেই এহেন অদ্ভুত আচরণের পরেও শিশুটি মুখ খোলেনি৷ তবে শিশুটি যে গৃহবধূর জন্যেই নারকীয় অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন, তা সকলেই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন৷ ধৃতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
[২০১৪ থেকেই ভুল পথে চলছে দেশ, ফের সরব অমর্ত্য সেন]
শনিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে ফের গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা। নির্যাতিতার বয়স ১৪ বছর। তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৫ দিনে এই নিয়ে পাঁচটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। বুন্দেলখণ্ডের ছত্তরপুর জেলার খাজুরাহো থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই নাবালিকা নিজের ঘরেই ঘুমোচ্ছিল। মাঝরাতে তাকে ঘুম থেকে তুলে টেনে হিঁচড়ে ছাদে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর ছাদেই তাকে গণধর্ষণ করে। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ওই নাবালিকার আত্মীয়। প্রত্যেকেই নির্যাতিতার বাড়ির আশপাশে থাকত। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন নাবালক রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ওই নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ রয়েছে। ছত্তরপুর জেলা হাসপাতালে তাকে ভরতি করা হয়েছে। মান্দাসৌরে শিশু ধর্ষণের ঘটনার পর ফুঁসছে গোটা দেশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি উঠছে সর্বত্র। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ফের শাসনব্যবস্থার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল।
The post ধর্ষণে উদ্যত স্বামী, সম্পর্ক ভুলে নাবালিকার সম্ভ্রম বাঁচাল স্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.