স্টাফ রিপোর্টার: পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন। লন্ডনেই দু’দিন আগে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। উইম্বলডনে গিয়ে রাফায়েল নাদালের ম্যাচও দেখেছেন। কথা হচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni)। যিনি শনিবার এজবাস্টনে শুধু ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে গেলেন তাই নয়, একইসঙ্গে ঈশান কিষানদের সঙ্গে দেখা করলেন এবং দিলেন পরামর্শও। ভারতীয় টিমের (Team India) তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করা হয়।
ধোনির সামনে এজবাস্টনে সিরিজ জয়ের কাজটা সেরে রাখল রোহিত শর্মার টিম। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসে সহজ জয়। যার ফলে রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটা স্রেফ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের পর তৃপ্ত দেখাচ্ছিল অধিনায়ক রোহিতকে (Rohit Sharma)। টিম হিসাবে ইংল্যান্ড কতটা কঠিন, সেটা খুব ভাল করেই জানেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আমি হলে ওকে টি-২০ দলে রাখতাম না’, কোহলিকে নিয়ে অসন্তুষ্ট অজয় জাদেজা]
তাই বলছিলেন, “টিম হিসাবে ওরা কতটা ভাল সেটা আমরা খুব ভাল করেই জানি। শুধু নিজেদের ঘরের মাঠে নয়, ইংল্যান্ড বিশ্বের সব জায়গায় ভাল খেলে। আমরা কী করতে চাইছিলাম, সেটা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার ছিল। আপনি যখন ম্যাচ জেতেন, তখন সবকিছুই ঠিকঠাক থাকে। টিমও আত্মবিশ্বাসী থাকে। সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চাপের পরিস্থিতিতে জাদেজা খুব ভাল একটা ইনিংস খেলল। এখানেই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিল। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাট করে গেল। ওকে দেখে একবারের জন্য মনে হয়নি যে প্যানিক বাটন প্রেস করেছে। উইকেট যেরকম ছিল, তাতে আমাদের মনে হয়েছিল রানটা খারাপ নয়। পাওয়ার প্লে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা বুঝি। ব্যাটিং-বোলিং, দুটো ক্ষেত্রেই পাওয়ার প্লে’তে আমাদের খুব ভাল পারফরম্যান্স হয়েছে।’’
ব্যাটিংয়ে যদি জাদেজা নায়ক হন, বোলিংয়ে অবশ্যই ভুবনেশ্বর কুমার। শুধু তিনটে উইকেট নেওয়াই নয়, জেসন রয় আর জস বাটলারকে শুরুতে আউট করে যে ধাক্কাটা ভুবি দিলেন, সেখান থেকে ইংল্যান্ড আর বেরোতে পারেনি। ম্যাচের সেরাও তিনি। ভুবনেশ্বর বলছিলেন, “বল যখন সুইং করে, তখন বোলিং করতে দারুণ লাগে। শেষ কয়েক বছর ইংল্যান্ডে বোলাররা খুব বেশি সাহায্য পাচ্ছিল না। তবে এবার পাচ্ছি। জানতাম বাটলার খুব বিপজ্জনক ব্যাটার। ঠিক করেছিলাম বল সুইং করলে উইকেটের জন্য ঝাঁপাব। সেটাই কাজে দিয়েছে।”