সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লুচি-আলুর দমের পর এবার লোকনাথ বাবার খিচুড়ি ভোগ। রাজ্য রাজনীতিতে ফের নয়া জল্পনা উসকে দিলেন সব্যসাচী দত্ত ও মুকুল রায়। সোমবার রাতে সল্টলেকে লোকনাথ পুজোর একটি অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায় দুই মূর্তিকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্তের দলবদলের জল্পনা উসকে দেয় তাঁর বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আবির্ভাব এবং লুচি-আলুর দম ভোজন। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। তারপর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন সব্যসাচী। নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে কটাক্ষ করেন। যাঁকে নিয়ে তাঁর নাম জড়িয়ে এত রটনা, সেই মুকুল রায়ের পাশে বসে থাকতে দেখা গেল সব্যসাচী দত্তকে। খেলেন খিচুড়ি ভোগও।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় পা রাখতেই গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা রাকেশ সিং, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি]
যদিও সব্যসাচী-মুকুল দুজনেই দলবদলের কথা না বলে সামাজিকভাবে পরস্পরের কাছাকাছি আসার কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে মুকুলের আরও সংযোজন, ‘তৃণমূলের বড় নেতারাই শুধু নন, সদ্য নির্বাচিত সাংসদদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু সব্যকে (সব্যসাচী) আমি কখনও আমার দলে আসার কথা বলিনি। কিন্তু এই ধরণের অনুষ্ঠানে কে কোথায় কার সঙ্গে দেখা করবে, সেটা কী অন্য কেউ বলে দেবে?’ সব্যসাচীও বলেছেন, ‘আমার বাড়িতে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তার মানে এই নয়, আমি সেই দলে যাচ্ছি। আমি বিজেপিতে যাচ্ছি বলে যা রটানো হচ্ছে, তা ভুয়ো।’ প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে নিজেকে পচা আলুর সঙ্গে তুলনা করে নাম না করে সুজিত বসুকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘টাটকা আলু হড়কে গেল, পচা আলু উতরে দিল’। উল্লেখ্য, বিধায়ক সুজিত বসু নিজের কেন্দ্র বিধাননগরে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে লিড দিতে পারেননি। অন্যদিকে, রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত নিজের কেন্দ্রে কাকলিকে ভাল লিড দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: একের পর এক ‘জয় বাংলা’ মেসেজ আসছে ফোনে, বিরক্ত হয়ে এটাই করলেন বাবুল]
The post লুচি-আলুর দমের পর নয়া জল্পনা, এবার একসঙ্গে খিচুড়ি ভোগ খেলেন সব্যসাচী-মুকুল appeared first on Sangbad Pratidin.