বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা করলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। খাতায় কলমে বিজেপির প্রতীকে জিতে বিধায়ক হলেও মুকুলবাবু এখন তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিকভাবেই PAC কমিটির চেয়ারম্যান পদের জন্য তিনি মনোনয়ন দাখিল করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, বিধানসভার রীতি বলে এই কমিটির মাথায় থাকেন বিরোধী দলের বিধায়ক। তবে সেই প্রথার ব্যতিক্রম হতেই পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
কী এই PAC? এর পুরো কথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। বিধানসভার এই কমিটি রাজ্য সরকারের খরচ-খরচার উপর নজর রাখে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাধারণত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় বিরোধী বিধায়কদের। এবার যাতে সেই রীতির লঙ্ঘন না হয় তা চাইছে বিজেপি। শুধু তাই নয় বিজেপির দাবি, মুকুল রায়ের বিধায়ক থাকারই অধিকার নেই। তার পরেও তিনি কীভাবে পিএসির চেয়ারম্যান হওয়ার মনোনয়ন দাখিল করেন? প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের।
[আরও পড়ুন: ]
বিধানসভা সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে পিএসির চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন দাখিলের চিঠি পাঠিয়েছেন মুকুল রায়। এই কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ২০। তার মধ্যে ১৪ জন শাসকদলের সদস্য থাকবেন। বাকি ছ’জন বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের তরফে ছ’জন বিধায়কের নাম জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে অশোক লাহিড়ি, মনোজ টিগ্গা, শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্কিম ঘোষ, পবন সিং, নির্মল ধারার নাম জমা পড়েছে।
এদিকে মুকুল রায়ের মনোনয়নের বিরোধিতা করছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, সাধারণত পিএসির চেয়ারম্যান হন বিরোধী দলের বিধায়ক। আর মুকুল রায় খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু তিনি কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে দ্রুত স্পিকারকে চিঠি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তাই তাঁর পিএসির চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে বিজেপি।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মুকুল রায়ের তো বিধায়ক থাকারই নৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা সাংবিধানিক অধিকার নেই। তাহলে কীভাবে উনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন জমা করেন? এর থেকেই বোঝা যায় তৃণমূল কোনও সাংবিধানিক রীতিনীতির ধার ধারে না। “