সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পালঘরে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল রেলেরই তিন কর্মীর। ঘটনার সময় ওই রেলকর্মীরা সিগন্যালিংয়ের কাজ করছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, রেলকর্মীরা লাইনে কাজ করছেন দেখেও চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করালেন না কেন? তবে কি চালকের কাছে এই বিষয়ে তথ্য ছিল না? সাধারণত লাল পতাকা টাঙিয়ে লাইনে কাজ করেন রেলকর্মীরা। এক্ষেত্রে কী সেই নিয়ম মানা হয়নি? ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ।
বালাসোর রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। একদিকে যেমন যাত্রী নিরাপত্তা তথা পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠছে, অন্যদিকে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পালঘরে ট্রেনের ধাক্কায় রেলকর্মীদের মৃত্যু সেই অভিযোগকেই জোরাল করল। রেল জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সিগন্যালিং ইন্সপেক্টর বাসু মিত্র, ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালিং মেইনটেনার সোমনাথ উত্তম এবং হেল্পার শচীন ওয়াংখেড়ের। প্রত্যেকেই পশ্চিম রেলের মুম্বই ডিভিশনের কর্মী ছিলেন।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি চিনা জওয়ানদের! ভাইরাল ভিডিও]
দুর্ঘটনা ঘটে সোমবার রাত ৮ বেজে ৫৫ মিনিট নাগাদ। লোকাল ট্রেন চার্চগেট স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তিন কর্মীরা। ভাসাই রোড এবং নাইগাঁও স্টেশনের মাঝে একটি সিগন্যালিং পয়েন্ট ঠিক করছিলেন মৃতেরা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৫৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।
এছাড়াও নিয়ম মতো শচীন ওয়াংখাড়ে এবং সোমনাথের পরিবার ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেই টাকা মেটানো হবে। অন্যদিকে চিফ সিগন্যালিং ইন্সপেক্টর বাসু মিত্রের পরিবার পাবে ১.২৪ কোটি টাকা। এছাড়াও চাকরির সময়কালের অন্যান্য যে আর্থিক বকেয়া রয়েছে, তাও সময়মতো মিটিয়ে দেওয়া হবে।