সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বস্তি মিলল না বৃহস্পতিবারও। শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) জামিন নিয়ে সিদ্ধান্ত হল না আজও। মাদক মামলায় বিশেষ আদালতে (NDPS) এদিন শুনানি ছিল। কিন্তু জামিন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে জেলেই থাকতে হবে। একইভাবে আরিয়ানের দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচারও। ২০ তারিখ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে আরিয়ান-সহ তিনজন জামিন পাবেন কি না।
গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী (Goa) বিলাসবহুল প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় (Cordelia Cruise) রেভ পার্টি আয়োজনের খবর পান এনসিবি আধিকারিকরা। তাদের হাতেনাতে ধরতে যাত্রী সেজে প্রমোদতরীতে চড়েন তাঁরা। পার্টি শুরু হওয়ার পরই পুলিশ একে একে ১০ জনকে আটক করে। মাদক কাণ্ডে জেরা করা হয় আরিয়ান খানকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখপুত্রকেও। সেদিন থেকে আর্থার রোড জেলে বন্দি রয়েছেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচা। নিমেষেই বদলে যায় কিং খানের পুত্রের জীবন।
[আরও পডুন: ধৃত শাহরুখপুত্রের সঙ্গে সেলফি, ‘বিজেপি’ কর্মীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস পুণে পুলিশের]
ঝকঝকে মন্নত থেকে জেলের অন্ধকার ঘরে। আরিয়ান যেন ধৈর্য হারাচ্ছেন। খবর অনুযায়ী, আরিয়ান নাকি বেশ মনমরা হয়ে বসে রয়েছেন জেলের অন্ধকারে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানা গিয়েছিল জেলের খাবারই খাচ্ছেন আরিয়ান। তবে গত কয়েকদিন নাকি জেলের কোনও খাবারই মুখে তুলছেন না। জামিন না পাওয়ায় কারণেই একেবারেই ভাল নেই আরিয়ান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরিয়ান নাকি সকাল, বিকেল বিস্কুট আর জল খেয়েই থাকছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার তাঁর জামিনের শুনানি ছিল, কিন্তু জামিন পাননি আরিয়ান। তাঁর হয়ে প্রথমে আইনি লড়াই লড়়ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। পরে অবশ্য তাঁকে বদল করে নিয়োগ করা হয় অমিত দেশাইকে। এই অবস্থায় বলিউড বাদশার অনুরাগীরা সকলেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সকলেরই প্রার্থনা, যত দ্রুত সম্ভব আরিয়ান খানের জেলমুক্তি হোক।