সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা এবং মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে৷ সেটাই বছর আটেকের শিশুর একমাত্র ‘অপরাধ’৷ তাই শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত একরত্তি৷ একাধিক স্কুলের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন মা৷ একাকী মায়ের সন্তানকে সামলানো স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকাদের পক্ষে দুষ্কর – এই অজুহাতেই ভরতি নেওয়া হচ্ছে না তাকে৷ মুম্বইয়ের ভাসির এক স্কুলে সন্তানের মা এবং প্রিন্সিপালের কথোপকথনের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ নেটিজেনরা প্রিন্সিপালের ভূমিকার নিন্দায় সরব৷ তবে এখনও অন্ধকারে শিশুর ভবিষ্যত৷
[ আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, হাই অ্যালার্ট জারি উপত্যকায়]
ওই তরুণীর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই৷ সন্তানকে স্কুলে ভরতি করানোর জন্য এখনও এখানে-ওখানে ছুটে বেড়ানোই যেন রুটিন হয়ে গিয়েছে তাঁর৷ দিনকয়েক আগে মুম্বইয়ের ভাসির সেন্ট লরেন্সের মতো এক নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেকে ভরতি করাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ একরত্তির স্কুলে ভরতির বিষয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তরুণী৷ আচমকাই প্রিন্সিপাল জানতে পারেন, শিশুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে৷ তাই একা মায়ের কাছে বেড়ে উঠছে সে৷ একথা শোনার পরই বদলে যায় স্কুলের প্রিন্সিপালের প্রতিক্রিয়া৷ এই স্কুলে এখন আর কোনও ছাত্রছাত্রীকে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না বলেই সাফ জানিয়ে দেন প্রিন্সিপাল৷ যদিও তরুণী বলেন, ‘‘আমি জানি স্কুলে এই সময়ে ভরতি চলছে৷ শুধুমাত্র সিঙ্গল মাদার হওয়ায় আমার সন্তানকে স্কুলে ভরতি নেওয়া হল না৷’’
[ আরও পড়ুন: এটিএমে টাকা না থাকলে দিতে হবে জরিমানা, নয়া নির্দেশিকা RBI-এর]
স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করেন ওই তরুণী৷ ওই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে প্রিন্সিপাল বলছেন, ‘‘আমরা সিঙ্গল মাদারের সন্তানকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না৷’’ পালটা তরুণী প্রশ্ন করেন, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে তবে কি সন্তান স্কুলে পড়তে পারবে না? সেখানেও নেতিবাচক উত্তরই দেন প্রিন্সিপাল৷ ই-মেলের মাধ্যমে ছোট্ট এই ভিডিওটি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন ওই তরুণী৷ স্কুল শিক্ষাদপ্তরে অভিযোগ জানানোর ভাবনাচিন্তাও করছেন তিনি৷ যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রিন্সিপালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ তবে ভিডিওটির সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
The post সিঙ্গল মাদারের সন্তান, স্কুলে ভরতি নিতে প্রিন্সিপালের আপত্তি ঘিরে তুমুল বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.