সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) মুঙ্গেরে (Munger) প্রতিমা বিসর্জনের সময় গুলি চালানোর ঘটনা হিন্দুত্বের উপরে আঘাত। তাহলে কেন এক্ষেত্রে বিজেপি (BJP) নেতারা নীরব? এমনই প্রশ্ন তুলে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করল শিব সেনা (Shiv Sena)। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মতে, এই ঘটনা মহারাষ্ট্র কিংবা পশ্চিমবঙ্গে হলে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করত।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে সঞ্জয় বলেন, ‘‘মুঙ্গেরে গুলি চালানোর ঘটনা হিন্দুত্বের উপরে আঘাত। এমন ঘটনা মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা রাজস্থানে ঘটলে রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাত। তাহলে এখন কেন বিহারের রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতারা কোনও প্রশ্ন তুলছেন না?’’ একই সুর লক্ষ করা গিয়েছে শিব সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তেও।
[আরও পড়ুন: ‘বলিদান বৃথা যাবে না’, কাশ্মীরে ৩ বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পর হুঁশিয়ারি জেপি নাড্ডার]
পত্রিকার সম্পাদকীয়তে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্বের। শিব সেনার অভিযোগ, ‘‘বিজেপি সব সময় দেখাতে চায় এই সব রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যত সমস্যা তা মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানে।’’ মুঙ্গেরের ঘটনার উল্লেখ করে সেখানেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এক্ষেত্রে গেরুয়া নেতারা নীরব রয়েছেন কেন?
প্রসঙ্গত, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুঙ্গের। পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল এক যুবকের। ৩০ জন জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতের সেই ঘটনায় মুঙ্গেরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসক ও পুলিশ সুপারের অফিসে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুরের পর দুই অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এলাকায় শান্তি ফেরাতে টহল দিতে হচ্ছে পুলিশকে।
তবে পুলিশের দাবি, দ্রুত শোভাযাত্রা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। এরপরই হঠাৎ শোভাযাত্রার মধ্যে থাকা দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তেমন কিছু দেখা যায়নি। বরং পুলিশকেই লাঠিপেটা করতে ও গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে।