সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সিপিএমের ফেসবুক ওয়ালে জ্বলজ্বল করছে মুনমুন সেনেরও নাম। উড়ছে তৃণমূলের পতাকাও। সত্যিই অবাক করার মতোই বিষয়। না, আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের জন্য সিপিএম ভোট চাইছে তা নয়। উদ্দ্যেশ্য ছিল, সিপিএমের একটি মিছিলের ছবি পোস্ট করে প্রচার৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে একই ফ্রেমে যে কখন মুনমুন সেনের নামে লেখা দেওয়াল লিখন ও আকাশে ওড়া তৃণমূলের পতাকা ঢুকে গিয়েছিল ফ্রেমে, তা খেয়াল করেননি যিনি ছবি তুলছিলেন। আর সেই ছবিই আন এডিটেড অবস্থায় পোস্ট হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজে। কেউ কেউ রসিকতা করছেন, লক্ষ্য না করায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

[ঘরের প্রার্থী না হলে ‘অন্য ফুলে’ ভোট দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের]
সব দলেরই সোশ্যাল মিডিয়া সেল এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। বিভিন্ন কর্মসূচি লাইভও করছে। মিছিল-মিটিংয়ের ছবি তুলে তা কত তাড়াতাড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যায় তা নিয়েও যেন অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে। আর সেটা করতে গিয়েই গণ্ডগোল। গত ১৬ মার্চ দুর্গাপুরের কালীগঞ্জ, টেটিখোলা, শংকরপুর গ্রামে মিছিল করে সিপিএম। দুর্গাপুর মহকুমার ওই এলাকা আসানসোল লোকসভার অন্তর্গত। সেখানেই রাস্তার ধারে একটা বড় দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন করা হয়েছিল। তৃণমূলের পতাকা উড়ছিল দেওয়ালের পাশে৷ সিপিএমের মিছিলের ছবি তোলার সময় ওই দেওয়াল লিখন ও পতাকাও লেন্সবন্দি হয়ে যায়। আর সেই ছবিই পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। পোস্টটি এখনও ডিলিট করা হয়নি৷ তবে যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাকে তুলোধোনা করতেও বাকি রাখেননি দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা৷
[‘রাস্তা জুড়ে খড়গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন’, তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শঙ্খ ঘোষের কবিতা!]
এদিকে, আবার শাসকদলের বিরুদ্ধে সচিত্র পরিচয়পত্র কেড়ে রাখার অভিযোগে সরব কংগ্রেস৷ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিভিন্ন গ্রামে বিরোধীরা যাতে ভোট দিতে না পারেন তাই ভোটার কার্ড সংগ্রহ করে নেওয়া হচ্ছে৷ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে আমি তা জানিয়েছি।” এই অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিপিএমের তরফে উদয় সরকার ও আবদুল মালেক, বিজেপির তরফে শ্যামল রায় ও নবকুমার হাজরা, তৃণমূলের তরফে উত্তম সেনগুপ্ত, উজ্জ্বল প্রামাণিক, নীহার আদিত্য, বিএসপির তরফে রামকৃষ্ণ মালিক ও প্রতুল বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ভোটদান ১০০ শতাংশ যাতে হয় সেই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতেও বলা হয়েছে।
The post সিপিএমের ফেসবুক পেজে মুনমুনের দেওয়াল লিখন! বিতর্ক পশ্চিম বর্ধমানে appeared first on Sangbad Pratidin.