shono
Advertisement

দেশভাগের সময় বিচ্ছেদ, ৭০ বছর পর দুই বোনকে খুঁজে পেলেন বৃদ্ধ

মা-বোনকে কাছে পেয়ে ফের যেন শৈশবে ফিরে গেলেন বৃদ্ধ বিয়ন্ত। 
Posted: 03:38 PM Nov 27, 2018Updated: 03:38 PM Nov 27, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু সীমানা নয়, দেশভাগ দেওয়াল তুলে দিয়েছিল ভাই-বোনের সম্পর্কেও। কলমের আঁচড় নকশায় পড়লেও ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল মন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত দশক। যৌবন পেরিয়ে এসেছে বার্ধক্য। বিভাজনের ক্ষত শুকিয়েছে অনেকটাই। তবে দাগ মিলিয়ে গেলেও রয়ে গিয়েছে যন্ত্রণা। দু’দেশের সুদূর দুই প্রান্তে আজও রয়ে গিয়েছে মন খারাপের ছোঁয়া। তবে সমস্তটাই বিচ্ছেদের গল্প নয়। প্রায় ৭০ বছর পর দুই বোনের সঙ্গে ফের দেখা হল পাঞ্জাবের বিয়ন্ত সিংয়ের। হারানো ভাইকে ফেরত পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন পাকিস্তানের উলফত বিবি ও মাইরাজ বিবি। মা আল্লারাখিও ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। মা-বোনকে কাছে পেয়ে ফের যেন শৈশবে ফিরে গেলেন বৃদ্ধ বিয়ন্ত। 

Advertisement

[পরকীয়ায় আর আগ্রহ নেই গৃহবধূর, অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের হুমকি যুবকের]

রবিবার, মা ও দুই বোনের সঙ্গে নানকানা সাহেবে দেখা দেখা হয় বিয়ন্তের। তাঁর মা আল্লারাখি জানান, অবিভক্ত পাঞ্জাবের ডেরা বাবা নানকের পরচা গ্রামে বাড়ি ছিল তাঁদের। দেশভাগের সময় পাকিস্তান চলে যায় গোটা পরিবার। তবে বিভাজনের হিংসায় পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বিয়ন্ত। ভারতেই একটি শিখ পরিবারে বড় হয়ে উঠেন তিনি। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। সৌভাগ্যবশত এক প্রতিবেশীর থেকে ছেলের বিষয়ে জানতে পারেন আল্লারাখি। তারপর থেকে ফোনে যোগাযোগ শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। চলতি বছর শিখ পূণ্যার্থীদের সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়েছেন বিয়ন্ত। সেখানেই ফের পরিবারে সঙ্গে ফের দেখা হয় তাঁর।

উল্লেখ্য, গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিখ পূণ্যার্থীদের যাতায়াতের পথ সুগম করতে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিল্লির তৎপরতার প্রেক্ষিতে শিখ ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে কর্তারপুর সাহিবের রাস্তা খুলে দিতে সম্মত হল পাকিস্তান। সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় পড়ে কর্তারপুর সাহিব। শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ এই পবিত্রস্থানে যেতে বিশেষ উৎসাহী। কিন্তু যাত্রাপথ তেমন সুগম না হওয়ার ফলে তাঁদের সেই ইচ্ছাপূরণ কঠিন হয়ে ওঠে। সে কারণে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর থেকে কর্তারপুর পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। 

[বিজেপির প্রশ্নের জবাব, নিজের গোত্র জানিয়ে দিলেন ‘ব্রাহ্মণ’ রাহুল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার