সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদের অনার কিলিংয়ের (Hyderabad Honour Killing) ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত নাগরাজুর স্ত্রী আসরিন জানিয়েছেন,তিনি হিন্দু যুবককে বিয়ে করতে চান সেই কথা জানতে পেরেই তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন তাঁর ভাই। ইতিমধ্যেই আসরিনের ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসরিনের পরিবারের অনেককেই আটক করা হয়েছে।
আসরিন জানিয়েছেন, “আমাদের বিয়ের আগে ভাই আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দু’ বার আমার গলায় ফাঁস দিয়ে আমাকে ঝুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। হায়দরাবাদে এসে আমরা বিয়ে করি। সিম কার্ডও পালটে ফেলেছিলাম যাতে পরিবারের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।”
বুধবার আততায়ীদের হাতে খুন (Hyderabad Killing) হন নাগরাজু। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “লোহার রড দিয়ে মেরে ওর মাথা ভেঙে দিয়েছে। দু’টি বাইকে চেপে আততায়ীরা এসেছিল। কেউ আমাদের বাঁচাতে আসেনি। হয়তো আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারতাম। পুলিশ এসেছে আধঘণ্টা পরে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বিয়ে করলে বিপদ আসতে পারে এই কথা ভেবে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হল না।
[আরও পড়ুন: শাহের বঙ্গসফরের মাঝেই ঝাড়গ্রাম বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন, দল ছাড়লেন একাধিক নেতা]
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত অর্থাৎ আসরিনের ভাই ভেবেছিল ভিন ধর্মের যে যুবককে বিয়ে করেছে বোন,তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হবে। নাগরাজুর মৃত্যু কীভাবে হল সেই বিষয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছে, বাইক থেকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারা হয়। শেষে ছুরি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়, তার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
‘অনার কিলিং’ অর্থাৎ ভিন ধর্মে বিয়ে করার ফলে সম্মান রক্ষার্থে খুন, এই ধরনের ঘটনা সাধারণত উত্তর ভারতেই দেখা যেত। দক্ষিণ ভারতে এহেন ঘটনা প্রায় ঘটে না বললেই চলে। পরিস্থিতি দেখে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ উসকে দিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। মৃত যুবক হিন্দু বলে অপরাধের সুবিচার হচ্ছে না, এই দাবিও তুলেছে তারা। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
[আরও পড়ুন: তদন্তের নামে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, রাজস্থানে সাসপেন্ড ৫৯ বছরের পুলিশ কর্তা]