সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কানোয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra)। দেশে নতুন করে কোভিড (Covid) বাড়ছে, এই অবস্থায় উত্তর ভারতের পরিচিত এই তীর্থযাত্রায় অনুমতি দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের একটি মন্দিরে ঢুকে কানোয়ার যাত্রীদের ফল ও জল বিতরণের ‘অপরাধে’ এক মুসলিম যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠল। তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারনপুরের ঘটনা। আক্রান্ত হন কাজি ফারহান নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সাহারানপুরের একটি মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে অভুক্ত, ক্লান্ত কানোয়ার যাত্রীদের ফল ও জল বিতরণ করছিলেন তিনি। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মন্দির থেকে টেনে বের করে চেন দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। ফারহানের অভিযোগ, যারা মারধর করে তাদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল। এই ঘটনায় ফারহান গুরুতর আহত হন। তাঁর মুখে গভীর ক্ষত হয়, রক্তাক্ত হন তিনি। আক্রান্ত ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, শুধু মারধর করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কোথায় ২ কোটি, মোদি জমানায় সরকারি চাকরি পেয়েছেন মাত্র ৭ লক্ষ! বলছে কেন্দ্রই]
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার আগে অল্প সংখ্যক মানুষ এবং সন্ন্যাসী এই যাত্রায় যেতেন। কিন্তু আটের দশকের পর থেকে সারা ভারত থেকে শিবভক্তরা গঙ্গা জল সংগ্রহের জন্য প্রতি বছর এই যাত্রা করে থাকেন।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে দু’সপ্তাহে আত্মঘাতী ৫ পড়ুয়া, নেপথ্যে পড়াশোনার চাপ? বাড়ছে উদ্বেগ]
করোনার (Coronavirus) দাপটে তা বন্ধ ছিল ২০২০ সালে। ২০২১ সালেও উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশা সরকার কানোয়ার যাত্রা বাতিলের ঘোষণা করে। কিন্তু যোগী সরকার দ্বিধায় ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনায় কাজ হয়। একপ্রকার চাপে পড়েই সেই বছরের কানোয়ার যাত্রা বাতিলের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।