সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিয়ার। জানিয়ে দিলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে মুসলিমরা। তাই তাদের এদেশে থাকাই উচিত নয়।
[দেবীকে সালোয়ার কামিজ পরিয়ে বরখাস্ত মন্দিরের ২ পুরোহিত]
কাটিয়ার বলেন, “মুসলিমদের এদেশে থাকাই উচিত নয়। কেন না তারা ধর্মের ভিত্তিতে নিজেদের জন্য পৃথক ভূখণ্ড নিয়ে নিয়েছে। তাই বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানে যেতে পারে তারা। ভারতে থাকার কি দরকার?” মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েসির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য করেছেন কাটিয়ার। ভারতীয় কোনও মুসলমানকে যদি কেউ পাকিস্তানি বলে ডাকেন তবে তাঁর কারাদণ্ডের সাজা হোক। বুধবারই এই দাবি জানান ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন’ বা এআইএমআইএম নেতা। একই সঙ্গে এহেন মন্তব্য করলে আইন করে অভিযুক্তকে সাজা দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি।
ওয়েসি বলেন, ‘ভারতীয় মুলসমানরা জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্বকে মেনে নেননি। সে তত্ব খারিজ করেছিলেন বলেই তাঁরা ভারতেই থেকে গিয়েছেন। যেমন থেকে গিয়েছেন অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষরাও। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে দেশভাগের জন্য এখনও মুসলিমরা অবমাননার মুখে পড়েন। দেশের প্রতি ভালবাসা দেখালেও এখনও মুসলিমরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পান না। উলটে তাঁদের প্রতি এমন ব্যবহার করা হয় যেন তাঁরা যেন বহিরাগত।’ ওয়েসির অভিযোগ, ছুতোনাতায় ভারতীয় মুসলিমদের আক্রমণ করে পাকিস্তানি বলে ডাকা হয়। যা চরম অপমানের। এই প্রবণতা বদলের ডাক দিলেন সাংসদ। তাঁর দাবি, এই অপমান যাঁরা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সরকার এ ব্যাপারে আইন আনুক। যাঁরাই ভারতীয় কোনও মুসলিমকে পাকিস্তানি বলে ব্যঙ্গ করবেন, তাঁদের অন্তত তিন বছরের কারাদণ্ড হোক। তবেই এই অবমাননায় ইতি পড়বে।
এদিকে ওয়েসির বক্তব্যের জের টেনেই কাটিয়ার বলেন, যারা বন্দেমাতরম গানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে না, তাদেরও কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। আর শাস্তির জন্য নির্দিষ্ট বিল এনে তা সংসদে পাশ করিয়ে আইন হিসেবে বলবৎ করা হোক। এই শাস্তির আওতায় পড়বে তারাও। যারা জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে না। এদিকে বিজেপি নেতা ও সাংসদের পরস্পর বিরোধী পালটা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
[ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, মৃত ১]
The post মুসলিমদের ভারতে থাকা উচিত নয়, আক্রমণাত্মক বিজেপি সাংসদ কাটিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.