সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(CAA), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(NRC) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক(NPR) চালু করা যাবে না বলে আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। দিল্লির শাহিনবাগ কিংবা কলকাতার পার্ক সার্কাস রাস্তায় নেমে অবস্থানে বসেছেন মুসলিম মহিলা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যে শাহিনবাগের আন্দোলনের বিষয়ে মধ্যস্থতা করার জন একটি কমিটি তৈরি করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। টানাপোড়েনের এই সময়ে ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের ১৯৪৭ সালেই পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর মন্তব্যের কথা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
গত বুধবার বিহারের পূর্ণিয়ায় একটি জনসভা বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পশুপালন, মৎস্য ও দুগ্ধজাতপণ্য মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য এখনই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার উপযুক্ত সময়। ১৯৪৭ সালের আগে থেকে মহম্মদ আলি জিন্না ইসলামিক দেশ গঠন করার জন্য চাপ তৈরি দিচ্ছিল। এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরাট একটা ভুল যার জন্য আমরা আজও মূল্য চোকাচ্ছি। তখন যদি মুসলিম ভাইদের ওখানে আর হিন্দুদের এখানে স্থানান্তরিত করা হত, তাহলে আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তাম না। যদি ভারতবংশীয়রা এখানে আশ্রয় না পান তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন।’
[আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম, লিঙ্গায়েত মঠের প্রধান হচ্ছেন বিবাহিত মুসলিম যুবক]
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত ইসলামিক মাদ্রাসা বোর্ড (দেওবন্দ)-এর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্নের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল গিরিরাজ সিংকে। দেওবন্দকে সন্ত্রাসবাদের গঙ্গোত্রী বলে উল্লেখ করার জন্য তাঁকে জরুরি তলব করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপর আশা করা গিয়েছিল যে কট্টরপন্থার পথ থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশের পথে চলবেন তিনি। কিন্তু, তা আর হল না।
[আরও পড়ুন: ‘পাকপ্রেমী কাশ্মীরি ছাত্রদের জিভ কাটলেই ৩ লাখ নগদ’, নিদান শ্রী রাম সেনা নেতার]
The post ‘১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল’, বিস্ফোরক গিরিরাজ সিং appeared first on Sangbad Pratidin.