সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত মায়ানমার (Myanmar)। এবার ইয়াঙ্গন থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার কাছে বাগো শহরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮০ জন বিক্ষোভকারীর।
[আরও পড়ুন: সুর নরম আমেরিকার! ভারতীয় জলসীমায় মার্কিন রণতরীর প্রবেশ নিয়ে বিবৃতি দিল পেন্টাগন]
বিবিসি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকেই গণতন্ত্রের দাবিতে বাগো শহরের রাস্তায় নেমে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। সেনাশাসনের প্রতিবাদে ও নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবিতে সরব হন গণতন্ত্রকামীরা। প্রতিবাদ থামাতে অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে জনতার সঙ্গে সংঘাতে জড়াও সেনাবাহিনীর জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা। নির্বিচারে অত্যাধুনিক রাইফেল থেকে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮০ জন বিক্ষোভকারীর। তারপরের দিন শনিবারও সেখানে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘটনার পর বহু মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে সঠিকভাবে মৃতের সংখ্যা কত তা জানা সম্ভব নয়। আর সেনার ভয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও মুখ খুলছেন না।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ আচমকা মায়ানমারের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয় সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে বন্দি করা হয় দেশটির কাউন্সিলর আং সাং সু কি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের। তারপর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি। এ পর্যন্ত দেশটিতে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের। এর মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলারাও। এদিকে, মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে। মায়ানমারের সংসদের নির্বাসিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি সেনা-বিরোধী গোষ্ঠীও এই গেরিলা বাহিনীগুলির সাহায্য নিতে প্রস্তুত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেরিলা জনজাতিদের গ্রামে আকাশপথে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে জুন্টাকে।