সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও মুক্তি মেলেনি অতিমারীর কবল থেকে। গোটা বিশ্বে গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে একলাফে ৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণ। নতুন করে করোনার এই রক্তচক্ষুর মধ্য়েই ভয় দেখাচ্ছে এক নতুন ভাইরাস (Virus)। ভাইরাসটির নাম হার্টল্যান্ড ভাইরাস (Heartland virus)। ২০০৯ সালে প্রথমবার আমেরিকার (US) মিসৌরিতে এর দেখা মিলেছিল। নতুন করে এবার জর্জিয়ায় দেখা মিলল এই ভাইরাসের।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ছারপোকা জাতীয় পোকাদের শরীরে আশ্রয় নেয় হার্টল্যান্ড ভাইরাস। তারপর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দেহে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এক দশক আগে জর্জিয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় এই ভাইরাসের ধাক্কায়। এবার গবেষকরা জানাচ্ছেন, নতুন করে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে তাঁরা হদিশ পেয়েছেন। তাই তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাই এই মুহূর্তে তাঁরা খতিয়ে দেখছেন বিষয়টি।
[আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কে রায়দানের জের! কর্ণাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে খুনের হুমকি]
কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস? আপাতত কেবলমাত্র এটির দেখা মিলেছে ‘লোনস্টার টিকস’ নামের ছারপোকা জাতীয় পোকায়। এটি মানুষকে কামড়ালে তার শরীর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। যতদূর জানা যাচ্ছে, বয়স্কদের জন্য় এই ভাইরাস বেশি ভয়ংকর।
কী লক্ষণ এই ভাইরাসের সংক্রমণের? হার্টল্যান্ড ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ক্লান্তি, ক্ষুধা হ্রাস, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া এবং পেশি বা জয়েন্টে ব্যথা। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট কমে যাওয়া কিংবা যকৃতের ক্ষতি হতেও দেখা গিয়েছে। সাধারণ ভাবে সংক্রমণের লক্ষণগুলি আক্রান্ত হওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দিতে পারে। এদিকে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণকে প্রতিহত করার মতো কোনও ওষুধ নেই। তবে জ্বর ও ব্যথা কমানোর সাধারণ ওষুধগুলিকে কার্যকর হতে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তার নিরিখে রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ফের শীর্ষে মোদি, বলছে মার্কিন সমীক্ষা]
তবে আশার কথা, মানুষকে সংক্রমিত করার খুব বেশি ক্ষমতা এদের নেই। কিন্তু একবার আক্রান্ত হলে যদি তা গুরুতর পরিস্থিতিতে পৌঁছয় তাহলে চিন্তার বিষয়। গবেষকরা তাই নতুন করে খতিয়ে দেখতে চাইছেন কতজন মানুষ এর মধ্যেই ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন। কোন ধরনের পরিবেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় তাও খতিয়ে দেখা হবে।