সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধল। রেললাইনে পাওয়া গিয়েছে ওই যুবকের দু’ টুকরো দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও যুবকের বাবার দাবি, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ছেলের মৃত্যুর আগে হোয়াটসঅ্যাপে ‘হুমকি বার্তা’ পান তিনি। উদয়পুরে (Udaipur) দর্জি কানহাইয়া লালকে খুনের সময় যে স্লোগান শোনা গিয়েছিল আততায়ীদের গলায়, সেই বার্তা পান। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভোপাল (Bhopal) পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভ ফুটেজ, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ভোপালের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া যুবকের নাম নিশঙ্ক রাঠোর (২১)। রবিবার দুপুরে একটি ভাড়ার স্কুটারে নর্মদাপুরমের দিকে রওনা হন তিনি। তার আগে ফোনে বোনকে নর্মদাপুরমের যাওয়ার কথা বলেন। সিসিটিভি ফুটজে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত নিশাঙ্ক গন্তব্যে যাননি, মাঝপথে ফিরে আসেন। এদিন সন্ধে ছ’টার পর তাঁর দেহ পাওয়া যায় মিডঘাট রেল স্টেশনের কাছে রেল লাইনে। দু’টুকরো অবস্থায় মেলে দেহ।
[আরও পড়ুন: হর্নের শব্দ শুনতে পাননি, রাগে বধির সাইকেল আরোহীকে কুপিয়ে খুন! কাঠগড়ায় কিশোরী]
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, যুবক আত্মহত্যা করেছে। যদিও নিশাঙ্কের বাবা উমাশঙ্কর রাঠোর অন্যরকম দাবি করেন। তিনি জানান, ছেলের মৃত্যুর কিছু সময় আগে ৫টা ৪৪ নাগাদ তিনি হুমকি বার্তা পান। সেখানে লেখা ছিল, “গুস্তাখ-ই-নবি কি এক হি সজা, সার তন সে জুদা।” উল্লেখ্য, উদয়পুরে দর্জিকে যারা হত্যা করেছিল বলে অভিয়োগ, সেই আততায়ীরা এই ভাষাতেই হুমকি বার্তা দিয়েছিল। ফলে হোয়াটসঅ্যাপে আসা এই ‘হুমকি বার্তা’ নিয়েই রহস্য ঘনিয়েছে। পড়ুয়ার বাবা উমাশঙ্কর আরও জানিয়েছেন, ওই মেসেজ নিশাঙ্কের ফোন থেকে এসেছিল। সেটি ফরোয়ার্ডেড মেসেজ ছিল না, বরং টাইপ করে মেসেজ পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: কুমারী মা-ধর্ষিতার সন্তানের পরিচয়পত্রে থাকবে শুধু মায়ের নাম, রায় কেরল হাই কোর্টের]
প্রাথমিকভাবে পড়ুয়া যুবকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের বাবার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ওই হুমকি মেসেজের উৎস কী।