সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বাড়িতে বিস্ফোরক কাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তে এবার সন্ধান মিলল এক ‘রহস্যময়ী’র। এই কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজের (Sachin Waze) সঙ্গে মু্ম্বইয়ের (Mumbai) এক পাঁচতারা হোটেলে ওই মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে শচীনের সম্পর্ক ঠিক কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই মুম্বই বিমান বন্দর থেকে এনআইএ আটক করেছে ওই মহিলাকে।
মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে একটি গাড়িতে ২০টি জিলেটিন স্টিক রাখার ঘটনায় বেশ কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শচীন। যে গাড়িতে ওই বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল তার মালিক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৫ মার্চ। এরপরে রহস্য আরও গভীর হয়। শচীনকে জেরা করার পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। তার আগেই ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ ওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, মনসুখ হিরেনকে তিনিই খুন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত! এবার ভারতীয় সেনার আত্মরক্ষায় এল সম্পূর্ণ দেশীয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট]
তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পেরেছে ঘটনার কয়েক দিন আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি অন্তত পাঁচদিন মুম্বইয়ের একটি পাঁচতালা হোটেলে ছিলেন শচীন। সেই সময়ই তাঁকে এক মহিলার সঙ্গেও দেখা গিয়েছিল। অবশেষে অনুসন্ধান চালিয়ে থানের মীরা রোডে সেই রহস্যময়ীর বাড়ির সন্ধান পায় এনআইএ। পরে তাঁকে আটক করা হয় মুম্বই বিমান বন্দর থেকে। প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা শচীনকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করতেন। একাজে তিনি ব্যবহার করতেন একটি নোটগণনার মেশিন। তেমনই একটি মেশিন এর আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ।
ক্রমশ জাল ছড়িয়েছে বিস্ফোরক কাণ্ড। শচীন ওয়াজেকে গ্রেপ্তার করার পরেই এনআইএ-র এক সূত্র দাবি করেছিল, এই ঘটনায় ‘অন্য খেলোয়াড়রা’ও আছে, যাদের নির্দেশে কাজ করছিলেন শচীন। শিগগিরি এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতে চলেছে। আম্বানির বাড়ির সামনে জিলেটিন স্টিক রাখার চক্রান্তের আড়ালে থাকা আরও গভীর রহস্যের সন্ধান মিলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।