সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গতকাল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাওড়া ও কলকাতার একাংশে। এমজি রোডে পুলিশের গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। সেই প্রসঙ্গে পুলিশকেই দুষলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পালটা দিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
কলকাতায় থাকলে প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন। বুধবারও তার অন্যথা হল না। এদিন নবান্ন অভিযানে বিজেপির তাণ্ডব, কলকাতায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে পালটা পুলিশকেই দুষলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশই চেয়েছে গাড়িতে আগুন জ্বলুক।” তাঁর ব্যাখ্যা, “যেখানে গাড়িতে আগুন জ্বলল, সেখানে কোনও পুলিশ ছিল না কেন? গাড়িতে কোনও চালকও ছিল না। আর যদি পুলিশ দেখে থাকে বিজেপি করেছে, আটকানো হল না কেন? গ্রেপ্তার করা হল না কেন?” ইঙ্গিতে তিনি দাবি করেছেন, এই অগ্নিসংযোগের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বরং এর দায় পুলিশের। বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন দিলীপ।
[আরও পড়ুন: ‘মুখে বলে প্রমাণ করতে হল তিনি পুরুষ’, ‘আলুভাতে’র পর শুভেন্দুকে নয়া কটাক্ষ কুণালের]
এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “বিজেপির গুণ্ডামি গতকাল রাজ্যবাসী দেখে নিয়েছেন। ওদের আর কিছু না বলাই ভাল।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাওড়া-সাঁতরাগাছি চত্বরে। পুলিশের সঙ্গে চলে খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসঙ্গে নামানো হয় রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ ও র্যাফ। বারাকপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। এদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ও কলকাতার একাংশ।