গৌতম ব্রহ্ম: আবাস যোজনায় গরমিল আটকাতে আরও কড়া নবান্ন। যে সমস্ত গ্রামে ১৫ শতাংশ বা তার কম উপভোক্তার নাম বাদ পড়েছে, সেই সমস্ত তালিকা দ্বিতীয়বার সমীক্ষার নির্দেশ দিল নবান্ন। কারা সেই সমীক্ষা করবে, কীভাবে সেই সমীক্ষা হবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
আবাস যোজনা নিয়ে প্রথম দফায় সমীক্ষা করেছে আশা বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেই তালিকা খতিয়ে দেখবে বিডিও অফিস। সেই তালিকায় যদি ১৫ শতাংশ বা তার কম উপভোক্তার নাম বাদ গিয়ে থাকে, তাহলেই ফের সমীক্ষা হবে সেই গ্রামে। সমীক্ষকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে পুলিশও থাকবে। যাতে কোনওভাবেই কোনও অযোগ্য উপভোক্তার নাম তালিকায় না থাকে।
[আরও পড়ুন: OMR শিট বিকৃতি মামলা: শুধু CBI নয়, তদন্তে ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
নবান্নের তরফে ১৫ দফা শর্ত রাখা হয়েছে। এই শর্তপূরণ হলে আবাস যোজনার সুবিধা পাবে না উপভোক্তারা। সতর্কতা সত্ত্বেও কোনও অযোগ্য নাম তালিকায় ঢুকে পড়ল কি না সেদিকেও কড়া নজর রাখা হবে। তালিকা থেকে এলোমেলোভাবে যে কোনও নাম বেছে নিয়ে তাঁর যোগ্যতাযাচাই করা হবে জেলাশাসক স্তরে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা -সহ বেশ কয়েকটি জেলার পারফরম্যান্স ভাল নয়। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। যেখানে যেখানে এধরনের ঝামেলা হচ্ছে, সেখানে সেখানে জেলাশাসকদের (DM)যেতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই প্রকল্প ঘিরে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কোনও অবনতি যেন না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এইচ কে দ্বিবেদী। জেলাশাসকদের তিনি এও জানান, অশান্তির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে জানাতে হবে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।
আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত চলছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার জন্য ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১১ লক্ষ গ্রামীণ আবাস নির্মাণ হবে সেই টাকায়। তাতে কোনওরকম অস্বচ্ছতা যাতে না থাকে, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে কেন্দ্রের। তাই আবাস বণ্টনে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল তৈরি করে নবান্ন। আবাস বণ্টনের কাজ নির্ভুলভাবে করতে ২১ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক নিয়োগ করা হয়।