সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামরাজ্যে রাবণের দাপট। এককথায় এভাবেই বর্ণনা করা যায় ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের লোকসভা ফলাফলকে(Nagina Election Result 2024)। উত্তরপ্রদেশের নাগিনা কেন্দ্র থেকে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সপা-কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোটে ঠাঁই না হলেও নিজের জয় নিশ্চিত করে ফেললেন ভীম আর্মির প্রতিষ্ঠাতা।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজনৈতিক মহলে চন্দ্রশেখর আজাদের পরিচয় 'রাবণ' নামে। রামভূমে গেরুয়া বাহিনীকে ঠেকাতে লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটে থেকে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলে শরিক। তার পরে একলা চলো নীতি নিয়েই লোকসভা ভোটের ময়দানে নেমে পড়েন আজাদ। উত্তরপ্রদেশের নাগিনা কেন্দ্র থেকে নিজেই প্রার্থী হন আম্বেদকরের আদর্শের বাহক, ভীম আর্মির প্রতিষ্ঠাতা।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষক’ কুপোকাত! জনতার রায়ে ধরাশায়ী দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্না]
এই নাগিনা কেন্দ্রে রয়েছেন সাড়ে তিন লক্ষ দলিত ভোটার। সেখানে আমজনতার মন জিততে আজাদের (Chandra Shekhar Azad) হাতিয়ার ছিল 'দরিদ্রের শাসন' মন্ত্র। কেটলি চিহ্ন নিয়ে আমজনতার দরবারে গিয়ে রাবণ বুঝিয়েছেন, দলিতদের অধিকার রক্ষায় আজাদ সমাজ পার্টির সমকক্ষ আর কেউ নেই। যদিও এই কেন্দ্রে আজাদের পথে বড় অন্তরায় ছিলেন দলিত ভোটাররাই। কারণ তরুণদের মধ্যে আজাদ বেশ জনপ্রিয় হলেও বয়স্করা দলিত 'আইকন' হিসাবে ভরসা রাখেন মায়াবতীর উপরে। সেই বাধা কাটিয়ে স্টার মার্কস নিয়ে জয়ী হওয়ার পথে চন্দ্রশেখর আজাদ।
কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির মতো হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে মাত্র চার বছর বয়সি আজাদ সমাজ পার্টির লড়াইটা অসম মনে হলেও, শেষ পর্যন্ত আন্ডারডগেরই জয় হল। দেশজুড়ে সংবিধান বদলে দেওয়া হাওয়ার মধ্যেই সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরের উপর ভরসা রেখে ভোট বৈতরণী পার হলেন আজাদ। 'সারি পার্টি দেখলি, আব ভরোসা কেটলি' স্লোগানে ভর করে নাগিনা কেন্দ্র ছিনিয়ে নিলেন। তাহলে কি এবার উত্তরপ্রদেশের দলিত আইকন হিসাবেও দেখা হবে রাবণকেই? বিজেপি-কংগ্রেস-সপা-বিএসপিকে হটিয়ে দলিতদের ভরসা আদায় করে নেবে আজাদ সমাজ পার্টি? উত্তর দেবে সময়।