সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তাঁর বদলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে রইলেন কমলা হ্যারিস। সোমবার ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হ্যারিসের নাম ঘোষণা করলেন প্রাক্তন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে হ্যারিসের নাম ঘোষণা করেছিলেন বিল ক্লিন্টন, হিলারি ক্লিন্টন-সহ একাধিক প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট। পেলোসিও কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করায় ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার দৌড়ে তিনি যে অনেকটা এগিয়ে গেলেন, তা বলাই যায়।
এদিন পেলোসি জানান, "আমি গর্বের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করছি। হ্যারিসের জন্য আমার সমর্থন ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক এবং অফিসিয়াল।" তাঁর আরও সংযোজন, "আমি কাছ থেকে হ্যারিসকে কাজ করতে দেখেছি। উনি মহিলাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। নির্ভুল রাজনীতিবিদ। আমি নিশ্চিত যে ও নির্বাচনে জয়লাভ করবে।" তবে পেলোসি যতই কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করুন না কেন, অফিসিয়ালি ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে এখনও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘জঙ্গিদের মতো খাঁচাবন্দি’, জেল-বিভীষিকার বর্ণনা ইমরানের]
ডেমোক্র্যাট (Democrat) নিয়ম অনুযায়ী, রানিং মেট হলেও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে সবুজ সংকেত পাবেন না কমলা। নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে হবে প্রেসিডেন্ট হতে আগ্রহী ডেমোক্র্যাটদের। সেই নামগুলো নিয়ে আলোচনা হবে ডেমক্র্যাট ন্যাশনাল কনভেনশনে। আগামী মাসে শিকাগোতে এই কনভেনশন হবে বলে জানা গিয়েছে। দলের নানা স্তরের ৩,৯০০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এই কনভেনশনে। পছন্দের প্রার্থীদের বেছে নেবেন ৩২০০ জন প্রতিনিধি। তাঁরা যদি বেছে নিতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ভোট দেবেন বাকি ৭০০ জন। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলাকে কি মার্কিন রাজনীতিবিদরা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটাই এখন দেখার।