সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লভ জিহাদ’ থেকে শুরু করে ‘জমি জিহাদ’। সম্প্রতি, মুসলিম মৌলবাদের এই দুই অস্ত্রের ‘প্রয়োগ’ নিয়ে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সামনে এসেছে ‘মন্দির জিহাদ’। কয়েকদিন আগে মথুরার একটি মন্দিরে জোর করে নমাজ পড়ার ঘটনায় ‘মন্দির জিহাদের’ অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নন্দ বাবা মন্দিরের পুরোহিত।
[আরও পড়ুন: আবার সেই দিল্লি, এবার হাসপাতালের পার্কিং লটে গণধর্ষিতা রোগীর আত্মীয়া]
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ফয়জল খান নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মথুরার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার শীর্ষচন্দ্র জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফয়জলকে। মন্দির কাণ্ডের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায়ও শামিল হয়েছিল ধৃত। ওই মন্দিরের পুরোহিত কানহা গোস্বামী জানিয়েছেন, মন্দিরে ঢুকে রামচরিত মানস থেকে বেশ কয়েকটি লাইন শোনায় আফজল। বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাধুর সঙ্গে নিজের ছবিও দেখায় সে। ফয়জলের মুখে শ্লোক শুনে রীতিমতো খুশি হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তারপরই মন্দিরের এক নির্জন স্থানে গিয়ে ফয়জল ও চাঁদ মহম্মদ নামের তার সঙ্গী বিনা অনুমতিতে নমাজ পাঠ শুরু করে। তাদের সঙ্গে আসা আলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা নামের আরও দুই ব্যক্তি নমাজ পড়ার দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে। পুরোহিত আরও জানান। মন্দিরে ভিনধর্মের মানুষের প্রবেশ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এরা পবিত্র স্থানটির মহিমা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মথুরা (Mathura)’র নন্দগাঁও এলাকার নন্দ বাবা মন্দিরে বিনা অনুমতিতে নমাজ পড়ে ফইজল খান ও চাঁদ মহম্মদ নামে দুই ব্যক্তি। আর তাদের নমাজ পড়ার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন অলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা। আর তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুকেশ গোস্বামী, শিবহরি গোস্বামী ও কানহা নামে তিন ব্যক্তি ওই চারজনের নামে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন।
[আরও পড়ুন: বিহারে ফের ক্ষমতায় আসছে NDA, দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]