স্টাফ রিপোর্টার: গ্রেপ্তারির পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের ভরতি করা হয়েছিল এসএসকেএমে। পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও ভরতি করা হয় হাসপাতালে। মানসিক চাপের কারণে রক্তচাপ ওঠা-নামা করছে ধৃত শোভন-সুব্রত-মদনের, জানিয়েছে হাসপাতাল।
নারদকাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েটের মধ্যে তিনজন অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। ফিরহাদ হাকিম অসুস্থতা সত্ত্বেও ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলেই। কোভিড আবহে চারজনেরই বয়স এবং একাধিক কোমর্বিডিটি চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে প্রবীণ নেতা, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অক্সিজেন থেরাপি চলছে মদন মিত্রর। তবে টানা অক্সিজেন না দিয়ে চিকিৎসকরা তাঁকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার বা সিপ্যাপ দিচ্ছেন। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়াবেটিস এবং সিওপিডির সমস্যা রয়েছে।
[আরও পড়ুন:ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করুন, মোদিকে ফের চিঠি মমতার]
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, চরম মানসিক চাপ ও উৎকণ্ঠাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার দিনভর এসএসকেএমে ভরতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা ওঠানামা করছে। মদন মিত্রর বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে আগেই। সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে পুরনো সিওপিডি সমস্যা ছাড়াও কোভিডজনিত দুর্বলতা রয়েছে তাঁর। টানা অক্সিজেনের বদলে তাঁকে মাঝে মাঝে সিপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা জনিত কারণে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছিল বুধবার। এদিন তাঁর রক্তের নমুনার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এসএসকেএম সূত্রে খবর, তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও, উৎকণ্ঠা জনিত কারণে রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা ওঠানামা করছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। শুক্রবারও তাঁদের একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে।