শুভঙ্কর বসু: শুক্রবারও মিটল না আইনি জটিলতা। দিনের শেষে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হল, নারদ মামলায় গোটা বিষয়টিই বৃহত্তর বেঞ্চ শুনবে। আর তার আগে পর্যন্ত আপাতত গৃহবন্দিই থাকতে হবে চার হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁরা কী কী করতে পারবেন, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন নারদ কাণ্ডে (Narada Case) ধৃতদের জামিন নিয়ে নতুন করে তৈরি হয় জট। কারণ, জামিন নিয়ে সহমত হননি দুই বিচারপতি। সেই কারণে আজই জামিনের মামলা যাওয়ার কথা ছিল বৃহত্তর বেঞ্চে। যদিও সেখানে মামলার শুনানি হয়নি এদিন। এদিকে, মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরিত করার মামলা নিয়েও আদালতের নির্দেশে কোনও উল্লেখ নেই।
[আরও পড়ুন: নারদ কাণ্ডে মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে দল ছাড়লেন রাজ্যের আরও এক বিজেপি নেতা]
অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভরতি শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যিনি আজ বাড়ি ফিরছেন বলেই খবর। হাউস এরেস্ট অর্থাৎ গৃহবন্দি থাকাকালীন তাঁরা কী কী করতে পারেন, তাও নির্দেশে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলার কাজ করতে পারবেন ফিরহাদ। এছাড়াও নিজেদের অফিসিয়াল কাজ বাড়িতে চালিয়ে যেতে পারবেন চারজন। ভিডিও কনফারেন্সের লগ রাখতে হবে। তবে অনলাইনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলা যাবে না। কারও সঙ্গে দেখাও করা যাবে না। এছাড়া জেল অথরিটিকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে, যেখানে তাঁরা বসে কাজ করবেন, সেখানে সিসিটিভি বসাতে হবে। জেল কর্তৃপক্ষকেই তা সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিন, অভিযুক্তদের আইনজীবী রানা মুখোপাধ্যায় জানান, হাই কোর্টের ১৯ মে এবং ২১ মে’র নির্দেশে গৃহবন্দি শব্দের উল্লেখ রয়েছে। তবে জামিন মামলায় আবার কবে শুনানি হবে, তা এখনও জানা যায়নি।