সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ যোগে (Narada Scam) রাজ্যের দুই মন্ত্রী আর বিধায়ককে সোমবার সকালেই নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই (CBI)। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও (Sovan Chatterjee)। আর এই পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তারির খবর শোনামাত্রই স্বামীর পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসে এলেন তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেপ্তারির পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে এলেন রত্না। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা না বলে সোজা ভিতরে ঢুকে যান তিনি। তবে যাওয়ার আগে কেবল জানান, “বেশি কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের পরামর্শ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ।”
[আরও পড়ুন: লড়াইয়ের সুর বাজছেই, এবার করোনাযুদ্ধে শামিল ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দের নিয়েও প্যারোডি]
প্রসঙ্গত, বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দু’জনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে এর আগে একাধিকবার শিরোনামেও এসেছেন তাঁরা। তাতে নাম জড়িয়েছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এমনকী শোভন-বৈশাখী একদিকে যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, অন্যদিকে তৃণমূলের হাত ধরে পুরোপুরি রাজনীতিতে নেমেছেন রত্নাও। শোভনবাবু কিংবা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি, সেখানে বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ে জয়লাভ করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর এবার স্বামীর বিপদে পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসেও এলেন তিনি।
এদিকে, এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে হেরে যাওয়ার পরই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহার করে এই কাজ করছে বিজেপি। স্পিকারের অনুমতি না নিয়েই এই গ্রেপ্তারি করা হয়েছে। যা একেবারেই অসাংবিধানিক। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী কিংবা মুকুল রায়কে ছাড় কেন? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।